ঝিনাইদহে সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালতে ১৬ মাসে দুই হাজার ৪০ মামলা নিস্পত্তি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দ্রুত নিস্পত্তি হওয়ায় ঝিনাইদহের ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম আদালতে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১৬ মাসে ঝিনাইদহে দুই হাজার ৪০টি মামলা হয় গ্রাম আদালতে। এরমধ্যে মামলা নিষ্পত্তির হার ৬৩.৫৭%। ৫৭৭জন নারী গ্রাম আদালতে সুফল পেয়েছেন। এছাড়া ন্যায় বিচারের মাধ্যমে ভিকটিমকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায় করে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতি সহজে বিরোধ ও বিবাদ নিষ্পত্তি করতে ঝিনাইদহে সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এবং অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.বি.এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, টেলিভিশন মিডিয়ার রাজিব হাসান, গ্রাম আদালতের জেলা ব্যবস্থাপক রহিদুল ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সংবাদ কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। কর্মশালায় বিচার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালায় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায় জানান, ১৬ মাসে জেলায় দুই হাজার ৪০টি মামলা গ্রাম আদালতে দায়ের করা হয়। নিষ্পত্তিকৃত মামলার পরিমাণ ৬৩.৫৭%। এছাড়া মামলা বাস্তবায়নের হার ৯২.৯২%। তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে প্রেরিত মামলার সংখ্যা ১৬২। গ্রাম আদালতে বিচার পক্রিয়ায় ২৫% নারী অংশ গ্রহন করেন বলেও কর্মশালায় বলা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল তার বক্তৃতায় বলেন, গ্রাম আদালত একটি সরকারি সেবা। এই বিচার ব্যবস্থা স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির মাঝে ন্যায় বিচার পৌছে দিতে সরকার এই গ্রাম আদালত স্থাপন করেছে। খরচ ছাড়াই মানুষ এই আদালতে বিচার পাচ্ছেন। তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা না থাকলে ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্যরা (মেম্বার) এই আদালতের প্রধান হতে পারবেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More