মাথাভাঙ্গা মনিটর: ঋষভ পন্ত ইতিহাস লিখলেন লিডসে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৭৮ বলে ১৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বিধ্বংসী ১১৮ রান করেন মাত্র ১৪০ বলে। এর মাধ্যমে টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে (শুরু ১৮৭৭ সালে) এমন কীর্তি আগে ছিল কেবল জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের। এছাড়াও ইংল্যান্ডে একই টেস্টে একবার সেঞ্চুরি ও আরেক ইনিংসে ফিফটির কীর্তি পান্তের রয়েছে দু’বার। এমন কীর্তি আর কোনো উইকেটরক্ষকের নেই। ২০২২ সালে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই করেছিলেন ১৪৬ ও ৫৭। এছাড়া ভারতের প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডে একই টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েছেন পন্ত। টেস্টে দুই ইনিংসে উইকেটকিপারের শতক: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার: ১৪২ ও ১৯৯* বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, হারারে, ২০০১ ঋষভ পান্ত: ১৩৪ ও ১০০* বনাম ইংল্যান্ড, হেডিংলি, ২০২৫ ম্যাচের চতুর্থ দিনে ভারতের ইনিংস আরও শক্তিশালী করে তোলে ওপেনার কেএল রাহুল ও ঋষভ পান্ত। লাঞ্চের পর থেকে দুজন মিলে তা-ব চালিয়ে ইংলিশ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে দেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২৯৮ রান। তখন ভারতের লিড দাঁড়ায় ৩০৪ রান। টি-ব্রেক পর্যন্ত রাহুল ২২৭ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন, আর পান্ত ১৪০ বলে ১১৮ রান করে ফিরে যান। পান্তের এটি টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি, আর রাহুলের নবম। দুজন গড়ে তোলেন ১৯৫ রানের অনবদ্য জুটি। অধিনায়ক শুভমান গিল (১৬ বলে ৮) দ্রুত ফিরে গেলেও, রাহুল-পান্ত জুটি ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত্তি গড়ে দেন। এর আগে দিনের প্রথম সেশনে পিচে কিছুটা জীবন ছিল, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্রাইডন কার্স গিলকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। তবে এরপর আর ইংল্যান্ডের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। পান্ত-রাহুলের জবাব ছিল দৃঢ় আর ধারালো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.