বাদপড়ার পর মেসি বললেন, ‘লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’

যেন লিওনেল মেসি বনাম পিএসজিতে রূপ নিয়েছিল লড়াই। ক্লাব বিশ্বকাপের সেই লড়াইয়ে টিকতে পারেনি মেসির দল ইন্টার মিয়ামি। ইউরোপের চ্যাম্পিয়নদের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছে। শেষ ষোলোতে হারটাও এসেছে বেশ বড়সড়—৪ গোল খেয়েছে, দিতে পারেনি একটিও। এমন হারেও দল নিয়ে গর্বিত মিয়ামির অধিনায়ক। জানিয়েছেন, মিয়ামির লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বসা ক্লাব বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করে মেসির দল। গ্রুপ পর্ব দুই ড্র, এক জয়ে আসে শেষ ষোলোতে। সেখানেই থামতে হয়েছে মেসিদের। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, শেষ ষোলোই ছিল তাদের লক্ষ্য।

মেসি লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে হেরে আমাদের ক্লাব বিশ্বকাপ শেষ হলো। পিএসজিতে কিছু প্রিয় মুখ আছে, যাদের আবার দেখা আমার জন্য আনন্দের ছিল। আমরা গর্ব নিয়ে বিদায় নিচ্ছি, কারণ আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিযোগিতার সেরা ১৬ দলের মধ্যে থাকা—সেটা আমরা অর্জন করেছি।’

আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্চ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে পিএসজি। ষষ্ঠ মিনিটে ভিতিনিয়ার ফ্রি-কিক থেকে জোয়াও নেভেস একেবারে ফাঁকায় হেড করে গোল করেন। এরপর ৩৯ মিনিটে মিয়ামির বুসকেটস বল হারালে দ্রুত আক্রমণ থেকে নেভেস নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। তৃতীয় গোলটি মিয়ামির টমাস অ্যাভিলেস আত্মঘাতী। হাকিমি প্রথমে বল ক্রসবারে মেরে ফিরলেও পরে নিজেই বল জালে পাঠিয়ে পিএসজির চতুর্থ গোলটি করেন।

এদিন গ্যালারিতে মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। ৬৬ হাজার দর্শকের বেশিরভাগই মিয়ামির গোলাপি জার্সি আর আর্জেন্টিনার জার্সি পরে এসেছিলেন। মেসির নাম ধরে চিৎকার করছিলেন। কিন্তু এমন দিনে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেননি মেসি। বরং বোতল বন্দি হয়ে ছিলেন পিএসজি রক্ষণের। বড় হারে কিছু করতেও পারেননি মিয়ামির অধিনায়ক।

ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর মেসির চোখ মেজর লিগ সকারে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলেছেন, ‘এখন মনোযোগ দিতে হবে মেজর লিগ সকার ও সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসছে সেসবের দিকে।’ মিয়ামি জুলাইয়ের ২ তারিখে এমএলএসে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে লড়বে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More