ম্যাচে তখন ২-১ গোলে পিছিয়ে সার্জিও রামোসের দল মন্তেরে। ঠিক তখন একটা সুযোগ এলো তার কাছে। দারুণ এক হেডার বরুসিয়া ডর্টমুন্ড রক্ষণ তো বটেই, গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে বসল। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাধা পেল ক্রসবারের, গোলটা আর হলো না। তাই মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরের আর শেষ আটে ওঠা হয়নি। ২-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
রামোসের ওই গোলটা হয়ে গেলে মন্তেরে শেষ আটে চলে এলেও আসতে পারত। আর সেটা হলে রামোস পেয়ে যেতেন তার সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের দেখা। দিনের শুরুর ম্যাচে জুভেন্টাসকে হারিয়ে রিয়াল যে চলে গেছিল শেষ আটে, সেই ব্র্যাকেটেই ছিল মন্তেরের অবস্থান, দুই দলের দেখা হতো কোয়ার্টারে। তবে গোল না পাওয়ায় সেটাও হলো না।
মার্সেডিজ-বেনজ এরেনায় ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে মঙ্গলবার শুরু থেকে বরুসিয়াই ছড়ি ঘুরিয়েছে। প্রথমার্ধে সেরহু গিরাসি ১৪ এবং ২৪ মিনিটে দুই গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে দেন। গোলে শট, বলের দখল সব জায়গাতেই দাপট দেখিয়েছে জার্মান দলটা। তবে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে সেটাই কাল হয়ে এল যেন। ৪৮তম মিনিটে জার্মান বের্তেরামে মন্টেরের হয়ে একটি গোল শোধ দেন। এরপর মন্টেরে সমতার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ডের রক্ষণ শক্ত ছিল।
এরপর মন্টেরে একের পর এক আক্রমণ চালায়। করোনা একটি শট নেন যা কোবেল রক্ষা করেন। আরেকটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। বের্তেরামে অফসাইডে বল জালে পাঠালেও তা বাতিল হয়।
৭০ মিনিটের কয়েকটি পরিবর্তন ডর্টমুন্ডকে সামলাতে সাহায্য করে। গিরাসি হ্যাটট্রিকের আরও কয়েকটি সুযোগ পেলেও সফল হননি।
শেষ মুহূর্তে আসে রামোসের সেই হেডার। তার হেড পোস্টের গা ঘেঁষে বাইরে যায়। রামোসের রিয়ালকে পাওয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাতে। ডর্টমুন্ড ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করে এবং রিয়ালের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হয়।
এই ম্যাচ আরও একটা পুনর্মিলনীর সুযোগ করে দিতে পারত। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলেন রিয়াল মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামের ছোট ভাই জোবে। কারণ ডর্টমুন্ডের জোবে ২৮তম মিনিটে হলুদ কার্ড পাওয়ায় নিষিদ্ধ হয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।
শেষ আটের লড়াইয়ে রিয়ালের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড। আগামী ৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.