ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর অভিযানে তিন সহযোগী ও ৫টি অবৈধ অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আটক কুষ্টিয়ার ত্রাস লিপটনকে তিন খুনের মামলায় শৈলকুপা থানার আবেদনে পুনঃ গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলার আসামি হিসেবে তাকে গত ১ জুলাই মঙ্গলবার কুষ্টিয়া কারাগার থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার ও হরিণাকু-ু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানেফ আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলামকে হত্যা করে দায় স্বীকার করে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় জাসদ গণবাহিনীর পরিচয়ে কালু। সে হত্যা মামলায় পুলিশ ও র্যাব এ হত্যাকা-ের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে মাঠে নামেন। কালুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার দুর্বাচারা গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির লিপটন এ হত্যাকা-ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হয়েছে। একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি, সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে গত ৬ জুন নিজ বাড়ি থেকে তিনজন সহযোগী ও ৫টি অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে। অস্ত্র আইনে গত ৭ জুন ইবি থানায় মামলা হয়, মামলা নং ৭। অন্যদিকে গত ১০ জুন হাট ইজারার বিরোধে গুলিতে হত্যার শিকার হন ইবি থানার মধুপুরের ব্যবসায়ী টুটুল, ১২ জুন দায়েরকৃত সে হত্যা মামলায় কালুর ঘনিষ্ঠ ইবি থানার পশ্চিম আব্দালপুরের রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। রাজুকেও একই মামলায় পুনঃগ্রেফতার করেছে শৈলকুপা থানা। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুম খান কুষ্টিয়া কারাগারে আটক লিপটন ও রাজুকে শৈলকুপা থানার হানেফসহ তিন সহযোগি হত্যায় পুনঃ গ্রেফতার দেখানোর জন্য ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে গত ২৫ জুন আবেদন করেন।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.