দামুড়হুদার নাটুদায় বিলুপ্তপ্রায় আউশের চাষাবাদ : ঝুঁকছে ভাদ্ররী হাইব্রিড ধানের দিকে তিন মাস মেয়াদী ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
নাটুদা প্রতিনিধি: সময়ের পরিক্রমায় দিন দিন বদলে যাচ্ছে সবকিছুর হালচাল। ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে কৃষি ক্ষেত্রেও। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা তিন মাস মেয়াদী আউশ বা ভাদ্ররী ধানের পরিচর্যায়। কালের পরিবর্তনে এক সময় যাকে বলা হতো আউশধান, এখন তার পরিবর্তে এসেছে ভাদ্ররী নাম। সেই সঙ্গে বদলে গেছে ধানের বৈশিষ্ট্য রং এবং জাত।
তবে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা ইউনিয়নের চাষিরা জানান, তিন মাসের স্বল্পমেয়াদি এই ধান চাষে সময় ও পরিশ্রম কম লাগে। আবার ফলনও ভালো হয়। ফলে জমি পতিত না রেখে অনেকেই এখন এই ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইব্রিড জাতের ধান যেমন হাইব্রিড-৯৬, রডমিলি, হীরা-২,ও ৯৪ এসবই এখন চাষিদের ভরসার নাম।
চারুলিয়া গ্রামের ধানচাষি বলেন শফিকুল ইসলাম,আষাঢ মাসের শুরু থেকেই আমরা ধান রোপণের কাজ শুরু করেছি। কেউ কেউ আরও আগেই লাগিয়েছেন। ধানের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সবাই। প্রতিযোগিতা থাকে কে আগে ঘরে তুলবে ধান। অপরদিকে খলিসাগাড়ি গ্রামের ধানচাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,এই ধান চাষের মজাটাই আলাদা। মাত্র তিন মাসেই ধান ঘরে তোলা যায়। আবার বেশি সেচ বা সারও লাগে না।
তবে পুরনো দিনের লালচে রঙের আউশ চাউল এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। বাজারে নতুন নতুন হাইব্রিড জাতের আগমনে বদলে যাচ্ছে চাষের ধরন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় আগে যেমন পুষ্টিকর আউশের চাল ছিল, এখনকার হাইব্রিড চালে সে স্বাদ নেই, তবে বিঘা প্রতি ১৮/২০ মণ ফলন হওয়ায় বিক্রি করে লাভ করা যায়।
এ বিষয়ে নাটুদা ইউনিয়ন কৃষিবিদরা বলেন, কৃষকরা এখন পুরনো ধান জাতের ঐতিহ্য ভুলে তিন মাসের বেশি ফলনশীল ধানের দিকেই ঝুঁকেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে কৃষকরাও পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিচ্ছেন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.