গত ১৪ জুন রীতিমতো বোমাই ফাটিয়েছিলেন বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। ভরা মজলিসে জানিয়েছিলেন, তিনি জাতীয় দল কমিটির সদস্য হিসেবে পদত্যাগ চান কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। বিষয়টা রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিল তখন।
এর এক মাস না ঘুরতেই তাকে এবার জাতীয় দল কমিটি থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো। শুক্রবার বাফুফে সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালের স্বাক্ষর করা চিঠিও পেয়ে গেছেন শাহীন।
শাহীনকে কেন বাদ দেওয়া হলো, তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি সে চিঠিতে। শুধু বলা হয়েছে, তিনি নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ফুটবলের উন্নয়নে যুক্ত থাকবেন, কিন্তু জাতীয় দল কমিটিতে আর থাকছেন না।
জাতীয় দল কমিটি বাফুফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটি। এই কমিটি ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা, কোচিং স্টাফের মূল্যায়ন এবং নিয়োগসহ নানা দায়িত্ব পালন করে। বাফুফের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান ও সাতজন সদস্য থাকার কথা। তবে সভাপতি তাবিথ আউয়াল গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কমিটির সদস্য সংখ্যা ১২ জনে উন্নীত করেছিলেন। শাহীনকে অব্যাহতির পর কমিটিতে এখন ১১ জন সদস্য রয়েছেন।
গত ১৪ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি করেন শাহীন। এতে বাফুফের ভেতরে-বাইরে সমালোচনা তৈরি হয় এবং অনেকেই বিব্রত হন। শাহীনের এই বক্তব্য বাফুফের ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন কোচ কাবরেরা। ২০২৩ সালে তার হাত ধরে এক যুগ পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। তবে এরপর থেকেই কাবরেরা বেশ সমালোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের মতো ফুটবলাররা দলে যোগ দেওয়ার পরও বাংলাদেশ জিততে পারেনি ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এরপর কাবরেরার সমালোচনা আরও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। তাই হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোচের অপসারণ চাচ্ছেন অনেকেই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.