‘মেসিনিও’ মানে ছোট মেসি। ব্রাজিলে এস্তেভাও উইলিয়ান পরিচিত এই নামেই। আসছে মৌসুমে চেলসিতে যোগ দেবেন তিনি। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের হয়ে শেষ ম্যাচটাও সম্ভবত তাদের বিপক্ষেই খেললেন তিনি। শুধু খেললেন না, গোলও পেলেন। তবে তার গোলের পরও তার দল জিততে পারল না। শেষ মুহূর্তের আত্মঘাতী গোলে পালমেইরাসকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে চেলসি।
ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে ম্যাচের ১৬তম মিনিটে চেলসির হয়ে প্রথম গোলটি করেন ইংল্যান্ডের কোল পামার। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত এক শটে এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩তম মিনিটে পালমেইরাসের ১৮ বছরের বিস্ময় বালক এস্তেভাও উইলিয়ান অসাধারণ এক ফিনিশে সমতা ফেরান। রিচার্ড রিওসের পাস ডানদিক থেকে বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই দফায় বল সেট করে নেন এবং চেলসি গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজকে চমকে দিয়ে শট নেন, যা বার লেগে জালে ঢোকে।
চেলসি ম্যাচে দ্বিতীয় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালালেও অতিরিক্ত সময়ের দিকে এগোচ্ছিল খেলা। শেষ পর্যন্ত ৮৩তম মিনিটে মলো গুস্তোর ক্রস প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার আগুস্তিন জিয়াইয়ের পায়ে লেগে ওয়েভারটনের গায়ে আঘাত করে বল জালে ঢোকে। এই আত্মঘাতী গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
ম্যাচের শুরুতে চেলসির নতুন মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোস তার প্রথম একাদশে সুযোগ পান, আর চেলসির আগামি মৌসুমের চুক্তিতে থাকা এস্তেভাও সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেললেন পালমেইরাসের হয়ে।
৬৫ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে, যেখানে স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজির আলোয় উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যেই হয়েছে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। এই জয়ের মাধ্যমে ২০২২ সালের ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হলো, তখনও পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল চেলসি। এখন সেমিফাইনালে আরেক ব্রাজিলিয়ান দল ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে খেলবে ইংলিশ জায়ান্টরা, ম্যাচটি হবে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.