চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে নতুন নতুন বিতর্ক শূন্য ওয়ার্ডে উপযুক্ত চার প্রার্থী থাকলেও অন্য ওয়ার্ড থেকে নিয়োগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে অনিয়ম ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন নতুন বিতর্ক জন্ম নিচ্ছে। এবার অভিযোগ উেেঠছে শূন্য ওয়ার্ড থেকে চারজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অন্য ওয়ার্ড থেকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আফিল উদ্দীন অভিযোগ করে জানিয়েছেন, আমার মেয়ে উম্মে আতাইয়া সোহানা গত ২০ জুন স্বাস্থ্য সহকারী পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়। যার রোল নং ২৪১৯১১০০৯৮০। এছাড়াও একই ওয়ার্ড থেকে আরও ৩ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু রেজাল্ট সীটে আমাদেরকে বাদ দিয়ে অন্য ওয়ার্ডের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। যা চাকরি বিজ্ঞপ্তির ৫নং কলামের পরিপন্থি। আমি এই অবৈধ নিয়োগ তদন্তপূর্ব বৈধ প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি। এর আগে পরীক্ষার হলে অনুপস্থিত অনেক প্রার্থীর নাম লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকায় থাকা, কেন্দ্র ও সিট প্লানের একাধিকবার পরিবর্তন, এবং এসএমএসে কেন্দ্রে পরিবর্তনের তথ্য জানিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি সব মিলিয়ে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ তুলেছিলেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ করেছে। এদিকে, গুণঞ্জন রয়েছে চুড়ান্ত উত্তীর্ণরা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের আগামীকাল সোমবার যোগদান করা কথা রয়েছে। এতিমধ্যে নিয়োগ প্রক্রীয়া স্থগিত চেয়ে অনেকে আইনি পদক্ষে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য; গত ২০ জুন চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে স্বাস্থ্য সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩৯টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন ১৩ হাজার ৬৬৮ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন ৪ হাজার ৮৭৪জন। প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, পরীক্ষার আগের দিন রাতভর খোলা ছিল সিভিল সার্জনের কার্যালয়। এ সময় কিছু পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়। শুধু তা-ই নয়, ২২ জুন প্রকাশিত ফলাফলে পরদিন সকালে পরিবর্তন আনা হয়। এতে দেখা যায়, অনুপস্থিত কিছু পরীক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার অনিয়ম তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.