ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি : ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ চায় জামায়াত-এনসিপি

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং অনৈক্যের খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে একটির পর একটি ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং রাজনীতির মাঠ পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সরগরম রাখা হচ্ছে। প্রধান রাজনৈতিক দল-বিএনপি মনে করছে, সংস্কার-বিচার ইস্যুতে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী আরো কঠোর ভাষায় বলেছে, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কিসের? কী নির্বাচন হবে? এ জন্য আগে নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই তৈরি করতে হবে।’ অন্যদিকে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি জানিয়েছে, আগে জুলাই হত্যাকা-ের বিচার ও সংস্কার। তারপর নির্বাচন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও সংস্কার, বিচার এবং পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর এমন পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সংশয় বা অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিগত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের কারণে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার ইতিমধ্যে গণহত্যায় সম্পৃক্ত থাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে। নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে। ফলে বিএনপির প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্তমানে রাজনীতির মাঠে রয়েছে জামায়াত-এনপিসপি-বেশকিছু ইসলামী রাজনৈতিক দল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াত ইসলামী আগামীতে সরকারে থাকবে নাকি বিরোধী দলে যাবে—সেটিও এখনো অস্পষ্ট। এছাড়াও বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু মিত্রের সাথে সমঝোতা হয়নি। তাছাড়াও বিএনপিকে রাজনৈতিক মাঠে চাপে রাখার জন্য জামায়াত-এনসিপি-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পৃথকভাবে টার্গেট করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ১২ জুন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রশ্নে যৌথ ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণার পর নির্বাচন নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা কেটে যায়। কিন্তু জামায়াত-এনসিপি লন্ডন বৈঠকে যৌথ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি তোলে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোনালাপ করেন। সেই ফোনালাপে উভয়পক্ষ দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি সেই ফোনালাপ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, চলমান সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সমর্থনের কথা বলা হয়। এছাড়াও যত শিগিগরই সম্ভব নির্বাচন করার কথা জানানো হয়। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দীন। এরপর গত ১ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল এই দুটি মাসকে সামনে নিয়ে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা ফুল গিয়ারে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সিইসির ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির বক্তব্যকে ধোঁয়াশা, অস্পষ্টতা বলছেন অনেকেই। কেননা প্রথমে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে সরে এসে জাপানে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হবে। এরপর লন্ডন বৈঠক থেকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা এসেছে। সেখানে আবার ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বাহাসকে কেন্দ্র করে নির্বাচন নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
এদিকে, বিএনপিসহ দলগুলো নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করছে। এনসিপিও নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে পদযাত্রা, সমাবেশ-গণসংযোগের কর্মসূচি পালন করছে। জামায়াত ইসলামীর আমিরও সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলনও বিশাল সমাবেশ করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে অনৈক্যর সুর পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন নিয়ে দলগুলো এখনো সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না। এরই মধ্যে এসেছে নির্বাচন পদ্ধতির বিতর্ক। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন বিতর্ক, সংস্কার বা বিচার ছাড়া নির্বাচন নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর এমন বক্তব্যে পালটাপালটি অবস্থান দৃশ্যমান। সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট সময় ইতিমধ্যে আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থেকে এসেছে এবং পুরো জাতি সেদিকেই তাকিয়ে আছে। সম্প্রতি নির্বাচন ইস্যুতে আমরা কতিপয় নেতার বিবৃতি ও বক্তব্য লক্ষ করেছি, আমরা গভীরভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছি। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সারা দেশের মানুষকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিভক্তি সৃষ্টি করলে তা কখনোই দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতের অমিল হয়েছে। এ কারণে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সমস্যা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। অন্যদিকে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ইত্তেফাককে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য সরকার যে সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে তা নিয়ে এনসিপির কোনো আপত্তি নাই। তবে নির্বাচনের আগে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং গণপরিষদের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শেষ করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ও পুনর্গঠন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারও জরুরি। এই নেতা আরো বলেন, এসব দাবি মূলত এনসিপির দাবি নয় বরং এ দেশের জনগণের দাবি। জনগণের এই দাবির পক্ষে এনসিপির অবস্থান।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিরোধ: সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং অনৈক্য খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনের আগে একটির পর একটি ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে। বিশেষ করে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে এই পদ্ধতি নিয়ে কঠোর বিরোধিতা করেছে বিএনপি। জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ বেশকিছু দল এই পদ্ধতির পক্ষে দঢ় অবস্থান নিয়েছে। ইসিতে বর্তমান্ েনিবন্ধিত ৫৫টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে চারটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে। ৫০টি দলের মধ্যে ১৮টি দল পিআর পদ্ধতিতে ভোটের পক্ষে। অন্যদিকে ২৮টি দল এই পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। চারটি দল তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সম্প্রতি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর নির্বাচনি ব্যবস্থা চালু করা ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন সমাবেশ করেছে। সেখানে জামায়াত, খেলাফত মজলিস ও গণঅধিকার পরিষদসহ ইসলামি দলগুলোর নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তারা অংশ নিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্রদের ঐ সমাবেশে আমন্ত্রণ জানায়নি ইসলামী আন্দোলন।
আগে জাতীয় নাকি স্থানীয় নির্বাচন? জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলন। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমা তার মধ্যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, আমাদের ফোকাস এই মুহূর্ত পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কারণ প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন না। তিনি জাতিকে যে ওয়াদা দিচ্ছেন, দেশে-বিদেশে যে কথা বলছেন-তা হলো জাতীয় নির্বাচনের। আমরা তার কমিটমেন্টের প্রস্তুতিতেই এগোচ্ছি।
দলগুলোর পরস্পর বিরোধী অবস্থান: পিআর পদ্ধতি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা দেশে ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তিমূলক সমাজ এবং অস্থিতিশীল সরকার সৃষ্টির কারণ হতে পারে কি না, এই বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আরো একবার ভেবে দেখার জন্য আমি সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বিনীত অনুরোধ করব। এই পদ্ধতি নির্বাচনের আড়ালে দেশে পতিত স্বৈরাচারের পথ সুগম করে দেবে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। সংস্কার ও বিচারের নামে তালবাহানা না করে স্বল্প মেয়াদে সংস্কার করে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং যারা আনুপাতিক হারে নির্বাচন চাচ্ছে তারাই বিএনপির সমালোচনা করছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারোয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আপনারা (ইসি) সোজা থাকবেন। অন্যদিকে, এনসিপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সারজিস আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংসদে আমরা যদি আসলেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব চাই তাহলে আগামীতে এই পিআর নিয়ে আমাদের আরো জোরদার কাজ করতে হবে।’
ভোট নিয়ে জামায়াত-এনসিপির একই সুর: ভোট নিয়ে জামায়াত-এনসিপি অভিন্ন সুরে কথা বলছে। সরকারঘোষিত নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল হওয়ার বিষয়ে এর আগে একাধিকবার ইতিবাচক বক্তব্য রাখলেও সম্প্রতি তা থেকে সরে এসেছে জামায়াত। শনিবার ফেনীতে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের জন্য কিছু জরুরি ও মৌলিক সংস্কারের কথা আমরা পরিষ্কার বলেছি। এ সংস্কারের পথে বাধা দেয়া কোনো দলের রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা হতে পারে না। এর আগে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে থানায় হামলা চালিয়ে দুই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হতে পারে না। পরিবেশ তৈরির জন্যই আগে সংস্কার এবং পরে নির্বাচন করতে হবে।
রংপুর, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় এনসিপির পদযাত্রায় দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং তারপর নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিও তুলেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, বিচার দৃশ্যমান করার পাশাপাশি এনসিপির জুলাই ঘোষণাপত্রে শহিদদের মর্যাদা ও অবদানের কথা থাকবে। জুলাই সনদে সংস্কারের কথা থাকবে এবং নতুন সংবিধানে অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করার পরেই পরবর্তী নির্বাচন হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More