ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ আড়াই মাস পর ফেরত

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএসএফের গুলিতে নিহত ওবায়দুল হোসেনের (৪০) মরদেহ ফিরে পেয়েছে পরিবার। মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর বিজিবি-বিএসএফের তৎপরতায় বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তর করে। গতকাল শনিবার বিকেলে গোপালপুর সীমান্ত এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। ওবায়দুল হোসেন মহেশপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে। ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৮ এপ্রিল মহেশপুর সীমান্তে ওবাইদুল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন ২৭ এপ্রিল সীমান্তের ভারতীয় অংশে (মধুপুর গ্রামে, মূল সীমান্ত পিলার ৪৮-এর কাছে) একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভারতের ৫৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন বিজিবিকে বিষয়টি জানালেও তখন মৃতের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। ওইদিন ভারতীয় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় নেয়। নিহতের পরিবার মৃতদেহটি ওবাইদুলের বলে দাবি করে এবং বিজিবির মাধ্যমে তার মরদেহ ফেরত চেয়ে লিখিত আবেদন করে। পরবর্তীতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে একাধিকবার যোগাযোগ ও কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হয়। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় তৎপরতার পর ৯ জুলাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মরদেহ হস্তান্তরে সম্মত হয়। প্রক্রিয়া অনুযায়ী ওবাইদুল হোসেনের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিএসএফের কাছে পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ চূড়ান্তভাবে মরদেহ হস্তান্তরের সময় ও স্থান বিজিবিকে জানায়। পরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে সীমান্ত পিলার ৪৭/৪-এস-এর কাছে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে মরদেহটি শূন্যরেখায় নিয়ে আসে। নিহতের বাবা মো. হানেফ আলী ও মা মোছা. নাছিমা খাতুন ছেলের গায়ের পোশাক দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে ভারতীয় পুলিশ তা মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More