ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন, সামাজিক মুল্যবোধ সৃষ্টি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে নবগঠিত ডিঙ্গেদহ মিলন সংঘের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ হলরুমে ডিঙ্গেদহ মিলন সংঘ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মিলন সংঘের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মিলন সংঘের উপদেষ্টা শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান মহিউল আলম সুজন। তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে মিলন সংঘটি প্রতিষ্ঠিত হয় এলাকার কিছু সমাজ সংস্কারক ব্যাক্তিদের নিয়ে। এলাকার কোন হাইস্কুল ছিলো না। এলাকার ছেলেমেয়েরা কোন রকমে প্রাইমারি শেষ করে মাঠের কাজে নিয়োজিত হতো। এলাকার শিক্ষার মান ছিল তলানিতে। হাতে গোনা এলাকার কিছু বিত্তবান মানুষের ছেলেমেয়রা চুয়াডাঙ্গা ভি.জে হাই স্কুলে পড়ামুনার সুযোগ পেত। মিলন সংঘের সদস্যরা এলাকায় শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ১৯৬৮ সালে ডিঙ্গেদহ মিলন জুনিয়র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করে। যা আজকে সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরনী বিদ্যাপীঠ নামে পরিচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলে সমাজে অস্থিরতা, সামাজিক অবক্ষয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে মিলন সংঘের সদস্যদের প্রতি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন, সামাজিক মুল্যবোধ সৃষ্টি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করার আহব্বান জানান। এ সময় তিনি মিলন সংঘের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বিদ্যালয় মাঠে মিলন সংঘ স্মৃতি মঞ্চ নির্মানের ঘোষনা দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন, মিলন সংঘের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল বারী, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইংরাজ, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাবুল জোয়ার্দ্দার, ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি রায়হান উদ্দিন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হাজী আকবার আলি মালিথা, সভার শুরুতেই মিলন সংঘের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন মিলন সংঘের সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মিলন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম হোসেন, মুকুল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলি নুর বিম্বাস, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা নান্না। শেষে মিলন সংঘের প্রায়ত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মিলন সংঘের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাও. আলি নুর বিশ^াস।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.