স্টাফ রিপোর্টার: শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ কেউ বাদ যায়নি। বিপুল সংখ্যক দর্শকের ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি করে দাঁড়ানো। তারপরেও সবার নজর মাঠের দিকে। বাংলার বাঘিনীদের পায়ের যাদু আর অসাধারণ পাসে আটকে যায় দর্শকদের চোখ। শুধু পুরুষ দর্শক ছিলেন এমন নয়। একটি গ্যালারি ভর্তি ছিল নারী দর্শকে। বলছিলাম গাংনী উপজেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত প্রমিলা প্রিতি ফুটবল ম্যাচের কথা। জুলাই গণ অভ্যূত্থান ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন উপলক্ষে এই ব্যতিক্রমী ম্যাচের আয়োজন করেন আয়োজক কমিটি। শনিবার বিকেলে সাহারবাটি গ্রামে অবস্থিত গাংনী উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি মনে করিয়ে দেয় যেন ফুটবলের স্বর্ণ সময়ের কথা। খেলা শুরু হয় বিকেল ৪টার পরে। কিন্তু এর দুই ঘন্টা আগে থেকেই স্টেডিয়ামের দুটি গ্যালারিসহ মাঠের চারপাশে কানায় কানায় পূর্ণ হয় দর্শকে। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তা এবং তাদের সাথে সৌজনত্যা বজায় রেখে এলাকার সুনাম অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে দর্শকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, খেলাধুলা মানুষকে ভাল পথে ধাবিত করে। খেলাধুলা নেই বিধায় সমায়ে নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনকে মহতি উদ্যোগ উল্লেখ করে আয়োজক ও দর্শকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আবু সাদাত সায়েম পল্টুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ধারাবিবরণী ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপি নেতা সুরেলী আলভী। খেলা পরিচালনা করেন বাফুফে রেফারি আব্বাস আলী। সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব হোসেন ও মনিরুল ইসলাম। প্রমিলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে এক দিকে অংশ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা খেলোয়াড়দের সমন্বেয়ে গঠিত ঢাকা মহিলা দল এবং অপর দিকে অংশ গ্রহণ করেন রংপুর মহিলা দল। ৯০ মিনিটের এ খেলায় ১-০ গোলে ঢাকা মহিলা দলকে পরাজিত করে রংপুর মহিলা দল জয়লাভ করে। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুল দেন প্রধান অতিথি আমজাদ হোসেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.