জীবননগরে এবার এসএসসির ফলাফল মোটামুটি সন্তোষজনক

জীবননগর ব্যুরো: গত বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জীবননগর উপজেলায় এবার এসএসসির ফল মোটামুটি সন্তোষজনক। এসএসসিতে পাসের গড় হার ৭৬দশমিক ১৬ভাগ। দাখিলে ৮৯ দশমিক ৬৭ভাগ এবং হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ফল বিপর্যয়ের পরও এসএসসি ভোকেশনালে পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬৬দশমিক ২৫ভাগ। পাসের হারে উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পাশের হার ৯৭দশমিক ১০ভাগ। দাখিলে নিধিকুন্ডু-বাড়ান্দি দাখিল মাদরাসা ৯৪দশমিক ৭৪ভাগ এবং এসএসসি ভোকেশনালে মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯২দশমিক ৫৯ভাগ পাস করে উপজেলার শীর্ষ স্থান দখল করেছে। উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি বিদ্যালয়ের ফলাফল আশাতীত। ১১টির ফল আশাতীত না।
এসএসসিতে জীবননগর উপজেলা হতে এবার ১হাজার ২৯৬জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯৮৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৭জণ। ফলাফলে এবার উপজলার শীর্ষে অবস্থান করছে জীবননগর থানা মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় হতে হতে ৬৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮জন। পাসের হার ৯৭দশমিক ১০ভাগ। শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এবার ৯০জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮৫জন। সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২জন। পাসের হার ৯৪দশমিক ৪৪ভাগ। উপজেলাতে এবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৮৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৮৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন। পাসের হার ৯৪দশমিক ৩৮ভাগ। উপজেলাতে এবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ১০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৯৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১জন। পাসের হার ৯৩দশমিক ১৪ভাগ। উপজেলাতে এবার চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২৮জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৭জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৭১ভাগ। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৪৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৬৩দশমিক ৬৪ভাগ। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ৯৫জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬জন। পাসের হার ৭০দশমিক ৫৩ ভাগ। আন্দুলবাড়ীয় মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ৭০জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪জন। পাসের হার ৮৫দশমিক ৭১ভাগ। আন্দুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৬৭জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৫৫দশমিক ২২ভাগ। রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৫৪দশমিক ২৪ভাগ। কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৭৮জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৫৮দশমিক ৯৭ভাগ। ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৬৮দশমিক ৫২ভাগ। করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন। পাসের হার ৮৫দশমিক ১৯ভাগ। বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৬০জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। পাসের হার ৬৬দশমিক ৬৭ভাগ। গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৭৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৭৭দশমিক ০৩ভাগ। মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২৩জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮জন। পাসের হার ৭৮দশমিক ২৬ভাগ। শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৫জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন। পাসের হার ৯২দশমিক ৭৩ভাগ। হতাশাজনক ফলাফল করেছে হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। ২৬জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে মাত্র ৮জন। পাসের হার ৩০দশমিক ৭৭ভাগ। হাজী মনির হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২২জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৩জন। পাসের হার ৫৯দশমিক ০৯ভাগ। আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৩জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৯জন। পাসের হার ৮২দশমিক ৬১ভাগ। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২৫জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৭জন। পাসের হার ৬৮ভাগ। সিংনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫০জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩১জন। পাসের হার ৬২ভাগ এবং কাশেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৩৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৮২দশমিক ০৫ভাগ।
দাখিল পরীক্ষায় এ উপজেলা হতে এবার ৭টি মাদরাসা হতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২৭১জন। পাস করেছে ২৪৩জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩জন। পাসের গড় হার ৮৯দশমিক ৬৭ভাগ। ফলাফলে উপজেলার শীর্ষে এবার নিধিকু-ু-বাড়ান্দী দাখিল মাদরাসা। এ মাদরাসা হতে ৫৭জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। পাসের হার ৯৪দশমিক ৭৪ভাগ। মাধবপুর ইসলামীয় দাখিল মাদরাসা হতে ৩৩জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩১জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। পাসের হার ৯৩দশমিক ৯৪ভাগ। উপজেলাতে এবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা হতে এবার ৪৯জ পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪জন। পাসের হার ৮৯দশমিক ৮০ভাগ। উপজেলাতে এবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর থানা ফাজিল মাদরাসা হতে ৫৩জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৪৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন। পাসের হার ৮৮দশমিক ৬৮ভাগ। উপজেলাতে এবার চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এছাড়াও জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসা হতে ১৬জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৪জন। পাসের হার ৮৭দশমিক ৫০ভাগ। পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদরাসা হতে ২৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৩জন। পাসের হার ৭৯দশমিক ৩১ভাগ এবং আন্দুলবাড়ীয় আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসা হতে ৩৪জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩০জন। পাসের হার ৮৮দশমিক ২৪ভাগ।
এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এবার ৮টি স্কুল হতে ৪৮৩জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৩২০জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯জন। পাসের গড় হার ৬৬দশমিক ২৫ভাগ। উপজেলার শীর্ষে এবার মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় হতে ২৭জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৪জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। পাসের হারে উপজেলার শীর্ষে ৯২দশমিক ৫৯ভাগ। জীবননগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে ৬১জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৬জন। সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭জন। পাসের হার ৯১দশমিক ৮ভাগ। ফলাফলে উপজেলাতে এবার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১১২জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৯৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭জন। পাসের হার ৮৭দশমিক ৫ভাগ। উপজেলাতে এবার তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। জীবননগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজ হতে ৭৩জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৬৩জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০জন। পাসের হার ৮৬দশমিক ৩ভাগ। উপজেলাতে এবার চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৮৮জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ ফেলের রেকর্ড গড়েছে। মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৪২জন পরীক্ষা দিয়ে ৩৬জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। পাসের হার ৮৫দশমিক ৭১ভাগ। উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৪৯জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩৮জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন। পাসের পার ৭৭দশমিক ৫৫ভাগ এবং জীবননগর থানা ফাজিল মাদরাসা হতে ৩১জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে মাত্র ৪জন। পাসের হার অত্যন্ত হতাশাজনক ১২দশমিক ৯ভাগ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More