জীবননগরে এরশাদের স্মরণসভায় অ্যাড. হাজি রবিউল ইসলাম আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য জাপাকেই বেছে নিতে হবে
জীবননগর ব্যুরো: জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জীবননগরে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাজী মো. রবিউল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রভূত উন্নয়ন সাধারণ করেন। যে উন্নয়ন এখন পর্যন্ত রোল মডেল হয়ে আছে। তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি দেশে ইসলামী মূল্য ও চেতনাবোধ জাগ্রত করেছিলেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের জনগণ শান্তিতে ছিলো। বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড ছিলো। অ্যাড. হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশকে অস্থিতিশীল করে ফয়দা লুটতে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা হিং¯্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও চাঁদার দাবিতে হত্যা, নির্যাতন, ভাংচুর, জ¦ালাও-পোড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। মব সৃষ্টি করে মিডফোর্টের সামনে পাথর দিয়ে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে চলছে এমন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। জাতীয় পার্টি কোন দিনও এ ধরণের হত্যাকান্ড সমর্থন করে না। আমরা এ ধরণের হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, জনগণের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি ও সুষ্ঠুভাবে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে হবে। তিনি আগামী দিনে দেশ পরিচালনা জন্য জিএম কাদেরের নেতৃত্বে পরিচালিত জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করার জন্য দেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের থ্রি-স্টার হোটেলের হলরুমে জেলা জাতীয় পার্টি কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাজী রবিউল ইসলাম এসব কথা বলেন।
চুয়াডঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোমিনুল ইসলাম হানেহার, সাধারণ সম্পাদক মো. মোসাবকাক্কা, দামুড়হুদা উপজেলা জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফ আলী, জাতীয় কৃষক পার্টির দামুড়হুদা উপজেলা শাখার সভাপতি আবু জাফর ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম, শফিসিরাজুল ইসলাম, সীমান্ত ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ওমেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম শফি ও বাঁকা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন প্রমূখ। স্মরণসভা শেষে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.