স্টাফ রিপোর্টার: বলিউডের ভাইজানখ্যাত অভিনেতা সালমান খানের ৩৬ বছরের ক্যারিয়ারে কাটানোর পর মনে হচ্ছে, তার পরবর্তী সিনেমা ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’র মতো পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় আর কোনো সিনেমায় করতে হয়নি। ২০২০ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে গালওয়ান উপত্যকার সংঘাতের ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানান ভাইজান।
সালমান খান বলেন, এ সিনেমায় শারীরিকভাবে ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রত্যেক বছর, প্রত্যেক মাস, প্রতিটি দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে।
সিনেমার পরিচালক ‘শুটআউট অ্যাট লোখণ্ডওয়ালা’ খ্যাত অপূর্ব লাখিয়ার ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’ এক সপ্তাহ আগেই সিনেমার পোস্টারের ঝলক এনেছেন। ভাইজান বলেন, আমাকে এখন ট্রেনিংয়ে আরও বেশি সময় দিতে হয়।
তিনি বলেন, আগে আমি সিনেমার এক-দু সপ্তাহ আগে নিজেকে ট্রেইন করতাম। কিন্তু এখন এ সিনেমার জন্য আমাকে দৌড়ানো থেকে শুরু করে কিকিং, পাঞ্চিং—সবকিছু আরও বেশি সময় দিতে হচ্ছে।
সালমান খান বলেন, সিকান্দার সিনেমায় অ্যাকশন ছিল একরকম। তার চরিত্র ছিল একরকম। কিন্তু এ সিনেমা করার ক্ষেত্রে বুঝেছি— এটা ফিজিক্যালি আলাদা। পাশাপাশি লাদাখে শুটিং, ঠান্ডা আবহাওয়া, জলে শুটিং আলাদা করে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
প্রথমে এ সিনেমা ঘিরে ভীষণ উত্তেজিত সালমান খান। চলতি মাসের শুরুতেই সিনেমার ঘোষণা করেছেন। অভিনেতা বলেন, আমি যখন এ সিনেমা সাইন করি, তখন মনে হয়েছিল— এটা দুর্দান্ত একটা বিষয় হতে চলেছে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, এ সিনেমা করা ভীষণ ভীষণ ডিফিকাল্ট।
তিনি বলেন, আমি ২০ দিন লাদাখে ছিলাম। তার মধ্যে সাত থেকে আট দিন কনকনে ঠাণ্ডা পানিতে শুটিং করেছি। আমরা এ মাসে শুটিং করব আবার।
জানা গেছে, সালমান খানের ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’ সিনেমাটি আগামী বছর জানুয়ারিতে মুক্তি পাবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ২০১৫ সালের ব্লকব্লাস্টার হিট সিনেমা ‘বজরাঙ্গি ভাইজানের’ সিক্যুয়েল নিয়েও কাজ চলছে। আমার বজরঙ্গি ভাইজান ভালো লেগেছে। এক অন্যরকম ইমোশনাল বিষয় আছে। তবে এর সিক্যুয়েল হবে অন্য রকম বলে জানান সালমান খান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.