চুয়াডাঙ্গায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতার ফলাফলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার: জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতার ফলাফলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন প্রতিযোগি। গতকাল রোববার রাত ৮টায় শহরের সরকারি কলেজ সড়কের একটি ক্যাফেতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ১১টি আইডিয়া জমা দেয় অংশগ্রহণকারীরা। এরমধ্যে একটি আইডিয়া চূড়ান্ত করে মূল্যায়ন কমিটি। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মঞ্জু ১৩ অথবা ১৪ জুলাই প্রতিযোগিদের প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করবেন বলে জানান। কিন্তু ১৪ জুলাই পর্যন্ত কোন প্রেজেন্টেশন নেয়া হয়নি। পরে প্রেজেন্টেশন ছাড়াই চূড়ান্ত প্রতিযোগি নির্ধারণ করেন মূল্যায়ন কমিটি। যে প্রতিযোগির আইডিয়া চূড়ান্ত করা হয়, সেই আইডিয়ায় সরকারি প্রজ্ঞাপনের একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা ছিলো, প্রজেক্টে প্রতিযোগি দলের সদস্যদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং গণ-অভ্যুত্থানের সাথে আইডিয়ার সামঞ্জস্য থাকতে হবে। কিন্তু চূড়ান্ত প্রতিযোগির আইডিয়ায় এসব মানদ- পূরণ করা হয়নি। এমনকি নির্দেশনা মোতাবেক প্রজেক্ট জমা দেয়ার সর্বোচ্চ সীমা ছিলো দুই পৃষ্ঠা। সেই নির্দেশনাও অমান্য করে চার পৃষ্ঠার প্রজেক্টকে চূড়ান্ত করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহমান নামের এক প্রতিযোগি অভিযোগ করে বলেন, এসব অনিয়মের ব্যাপারে যুক্তিসংগত প্রশ্ন করলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মঞ্জু আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেন। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করলে গতকাল রোববার অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিদের প্রেজেন্টেশন নেয়া হয়। এখানেও পক্ষপাতের পুনরাবৃত্তি ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। আরেক প্রতিযোগি সাইফুল্লাহ আল সাদিক বলেন, যদি নির্ধারিত এতগুলো শর্ত লঙ্ঘন করে কেউ আইডিয়া জমা দেয়। তাহলে কিভাবে আইডিয়াটি সর্বোচ্চ নম্বর পায়? অথচ, এই প্রজেক্টটি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়েই বাতিল হওয়ার কথা ছিল। এ সময় অভিযোগকারীরা ফলাফল বাতিলসহ প্রতিটি আইডিয়া প্রজ্ঞাপনের নিয়ম মেনে মূল্যায়নের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাহাবুব ইসলাম আকাশ, ফাহিম উদ্দিন মভিন ও সুমন সর্দার।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.