আলমডাঙ্গায় মিথ্যা মামলায় একটি পরিবার চরম হেনস্তার শিকার : তদন্ত চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের এক যুবক বিদেশে মারা গেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই দায়ের করা মামলায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নিরপরাধ একটি পরিবার। লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া এক যুবককে ঘিরে গঠিত এই মামলায় সরাসরি জড়িত না থাকলেও নির্যাতিত হচ্ছেন বেলগাছি গ্রামের শরিফুল ইসলাম ঠান্ডু, তার স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী এবং সন্তান। লিখিত অভিযোগে শরিফুল ইসলাম ঠান্ডু জানান, “ইতালি প্রবাসী সাগর আমার বড় ভাইয়ের ছেলে হলেও আমি আলাদা পরিবার নিয়ে বসবাস করি। সাগরের কোনো কাজকর্ম বা বিদেশ পাঠানো সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।” তিনি বলেন, “লোকমুখে শুনেছি, খেজুরতলা গ্রামের যুবক জুনায়েদ হাসান প্লাবনকে ইতালি নেয়ার কথা বলে সাগর লিবিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে সে আটকা পড়ে এবং পরে তাকে মৃত ঘোষণা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন প্লাবনের বাবা জমশেদ আলী। অথচ, এই ঘটনায় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মামলার পর পুলিশি অভিযানের ভয়ে আমরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হই। আমার স্ত্রীর স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আবারও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হই। এমনকি আমার পরিবারের জীবন-যাপন সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে।” এসময় তিনি অভিযোগ করেন, “আমার বড় ভাইয়ের ছেলের দালালির দায়ে আমাদের পরিবারকে পথে বসিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এটি চরম অনৈতিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।” শরিফুল ইসলাম ঠান্ডু এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More