স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের কাছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে হারার পর হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেটা এড়িয়েছে দলটা। যদিও এই জয় দিয়ে পাকিস্তান তাদের সাবেকদের মন গলাতে পারছে না। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার কামরান আকমলের মতে, বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবেই পাকিস্তানকে তৃতীয় ম্যাচে জিততে দিয়েছে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কামরান বলেন, ‘পাকিস্তান তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি জিতেছে। যদিও আমি মনে করি বাংলাদেশ তাদের জিততে দিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে তাদের ১০০ রানের কাছাকাছি অলআউট করেছিল বাংলাদেশ। তখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হতে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মনে করেছে তারা মূল লক্ষ্য পূরণ করেছে, এবার যারা বাইরে আছে তাদের সুযোগ দেয়া যাক।’ বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলোয়াড় খেলিয়েছিল। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষেও তারা ‘রোটেশন পলিসি’ চালিয়েছে। কামরানের মতে, ‘একসময় যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এই নীতি গ্রহণ মেনে নেওয়া যায় না। আমি শুধু এটুকুই বলব, এটা লজ্জাজনক।’ শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছিল। পারভেজ ইমন, হৃদয়, তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজ ও রিশাদকে বসিয়ে খেলায় আনা হয় মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন, নাসুম ও তানজিদ হাসান তামিমকে। বাংলাদেশ ব্যাটিং ধসের শিকার হয়। প্রথম পাঁচ উইকেট পড়ে যায় ২৫ রানে। পরে সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ১০০ পার হয়। কিন্তু হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কিছু হয়নি। পাকিস্তানের ওপেনিংয়েও দেখা যায় পরিবর্তন। প্রথম দুই ম্যাচে ফখর জামান ও সাইম আয়ুব খেললেও শেষ ম্যাচে শাহিবজাদা ফারহান সুযোগ পান এবং ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। এই প্রসঙ্গে কামরান বলেন, ‘তোমাদের শুরু থেকেই ডানহাতি-বামহাতি কম্বিনেশন রাখা উচিত ছিল। ফখর আর সাইম একসঙ্গে খেলিয়ে তোমরা বাংলাদেশের স্পিনারদের সুবিধা করে দিয়েছিলে। শাহিবজাদা থাকলে হয়তো তারা এতটা বিপজ্জনক হতো না।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.