জীবননগরের পল্লী মাধবপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নৃশংসতা দিনদুপুরে দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যা : স্ত্রী-সন্তানকে খুঁজছে পুলিশ বাবা মারা গেছে কী প্রতিবেশীর কাছে মোবাইলফোনে জানতে চাইলো ছেলে

জীবননগর ব্যুরো/হাসাদাহ প্রতিনিধি: জীবননগরে মনিরুল ইসলাম ফেলা নামে এক দিনমজুরকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরুল ইসলাম ফেলা (৫০) একই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের মৃত দিদার উদ্দিন ম-লের ছেলে। কয়েক মাস আগে মনিরুল পাশের বালিহুদা গ্রাম থেকে এসে মাধবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। জীবিকার তাগিদে তিনি দিনমজুরির পাশাপাশি কলার ব্যবসা করতেন। এলাকাবাসী ধারণা করছেন মনিরুল ইসলামের ছেলে রাজু (২৫) পারিবারিক কলহের কারণে তার পিতাকে জবাই করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ও ছেলে রাজু পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস, ঝিনাইদহ পিবিআই’র পরিদর্শক মো. জাবীদ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, মনিরুল ইসলাম একমাস আগে বালিহুদা গ্রাম থেকে উঠে এসে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর বিদ্যালয়ের সামনের জমি কিনে সেখানে স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরের কোনো এক সময় কে বা কাহারা মনিরুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এ সময় তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে দুপুর ২টার দিকে মনিরুল ইসলামের ছেলে রাজু (২৫) প্রতিবেশী আকিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাই “তার পিতা মারা গেছে কি-না?” ফোনে এ খবর পাওয়ার পর আকিদুল ইসলামসহ প্রতিবেশীরা মনিরুল ইসলাম ফেলার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজার মুখে মনিরুল ইসলামের জবাইকরা মরদেহ পড়ে আছে। এলাকাবাসী ধারণা করছেন পারিবারিক কলহের কারণে হত্যাকা-ের সাথে ছেলে রাজু জড়িত থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহতের ছেলে রাজু দেড় বছর আগে বিয়ে করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে ঘরজামাই থাকে। কিন্তু শনিবার সকালে রাজুকে মাধবপুর গ্রামে একাধিকবার দেখা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. উসমান আলী বলেন, মনিরুল ইসলামের নিহতের ঘটনা শোনামাত্র জীবননগর থানা পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে।
জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ‘কে বা কারা এবং কেন এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘটনার সময় পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের শনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More