চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুরে হাট-বাজার উন্নয়ন কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের হাট-বাজার ইজারা লন্দ ১৫% বরাদ্দের হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকালে কাজ চলাকালীন স্থানীয় বিএনপির নেতা কর্মী ও এলাকাবাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোমিনপুর ইউনিয়নের নীলমণিগঞ্জ পান হাট বাজারে হাটবাজার ইজারি কৃত আয়ের অর্থের ১৫% হাটবাজার উন্নয়নের জন্য ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৩ শত ৩৫ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে হাটের টিনশেড মেরামত এক লক্ষ টাকা টয়লেট সংস্কার এক লাখ ৭৫ হাজার ৩৫ টাকা, মেইন রাস্তা হতে কুদ্দুস এর বাড়ির রাস্তা নির্মাণ এক লক্ষ টাকা, মেইন রাস্তা হতে ইকবাল ডাক্তারের গোডাউন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও গরুর হাটের কালভার্ট ও মাটি-ভরাটের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। এই সকল কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উক্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান শিখন অভিযোগ করে বলেন, হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করার জন্য একটি কমিটি করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। গরুর হাট উপজেলা পরিষদের অনুমতি নেই যে কারণে রেললাইনের জায়গায় গরুহাটে কালভার্ট নির্মাণ ও মাটি ভারাট টাকা তছরুপের শামিল। এছাড়া হাট-বাজারের টাকা দিয়ে শুধু বাজার উন্নয়নের কাজ করার নিয়ম থাকলেও সেটা না করে তিনি নিজের পছন্দ মত ব্যক্তির ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তা নির্মাণ করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, সকল দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির নেতা ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, হাট বাজার ইজারার টাকায় শুধু হাটের উন্নয়ন করতে হবে। অন্য কোথাও এই টাকা খরচ করলে তা মেনে নেয়া হবে না। আগামীতে এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল হক বলেন, হাট বাজার ইজারার টাকায় হাট ও বাজার উন্নয়ন করা হচ্ছে। বাজারের রাস্তার উন্নয়ন না করলে হাটের উন্নয়ন হবে না। উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত টাকার ১০% ভ্যাট দিতে হয়। বাকি যে টাকা থাকে সেই টাকা দিয়েই কাজ করা হয়। এখানে দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই। আমি দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গে জড়িত নেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলে আমি যথাযথ শাস্তি গ্রহণ করবো। যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে তাহলে মানহানি মামলা করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More