চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে আমির পীর সাহেব চরমোনাই সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কেউ নিজ দল বা ব্যক্তি স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে না

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে যে কেউ নিজ কিংবা দলের স্বার্থে সংবিধান রচনা করতে পারবে না। গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত ইসলামী আন্দেলনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন তিনি। ইসলামী আন্দেলনের আমির বলেন, দেশকে অগ্রাধিকার না দিয়ে নিজ স্বার্থ বা দলের স্বার্থে ছেড়া পুস্তকের তৈরি হয়েছিলো বাংলাদেশের সংবিধান। যার যখন মন চেয়েছে তখনই সেভাবে সংবিধান পরিবর্তন হয়েছে। কারণ একটি নিয়ম রয়েছে যে, ৩৫-৪০ শতাংস আসন পেলেই তারা সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে। অথচ ৬০ শতাংশ মানুষকে গুরুত্ব দেয়া হয়না। তাই সময় এসেছে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা। পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটা ভোটারের মূল্যায়ন হবে। আবার কেউ ইচ্ছা করলেই ফ্যাসিস্ট চরিত্রে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংসদে যেতে পারবে না। এজন্য যারা দেশের স্বার্থকে ভূলণ্ঠিত করে দল ও নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে তারাই এই পদ্ধতি বুঝে না। তারাই প্রশ্ন তোলে পিআর পদ্ধতি খাই না মাথায় দেয়? সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম প্রশ্ন তুলে আরও বলেন, আপনারা যারা পিআর পদ্ধতি বোঝেন না, তারা রাজনীতি করতে আসছেন কেন? আপানাদের রাজনীতি করার অধিকারই তো থাকতে পারে না। বিশে^র প্রায় ৯১টি দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। আসলে তারা বুঝেও না বোঝার কথা বলে, কারণ এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আর দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা যাবে না। হাজার হাজার মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করা যাবে না, যেখানে সেখানে রাস্তায় নামলে খুন করা যাবে না। চরমোনাই পীর বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যারা যারা দেশ পরিচালনা করেছে তারা পাঁচবার চোরের দেশের তালিকায় নাম তুলেছে। হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। তাই এখনই চারদিক থেকে আওয়াজ তুলতে হবে, এই দেশে আর চাঁদাবাজি হতে দেয়া যাবে না। এই দেশকে আর বিদেশে পাচার করতে দেয়া যাবে না। ইসলামী আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীবের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. রুহুল আমিন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, হেফজতে ইসলামীর জেলা সভাপিত আব্দুস সামাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন সোমারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। পরে ওই সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মুফতি জহুরুল ইসলাম আজিজি ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে হাসানুজ্জামান সজীবের নাম ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More