স্টাফ রিপোর্টার:আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন বেশ পরিচিত এক নাম। তবে দলটা অভিষেকের পর থেকে এখনও নিজেদের দেশের মাটিতে খেলতে পারেনি। তবে পরিস্থিতিটা বদলাচ্ছে অচিরেই। শিগগিরই নিজেদের দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলবেন মোহাম্মদ নবি, রশিদ খানদের মতো আফগান কিংবদন্তিরা।
আফগানিস্তান আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে নিজ দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করছেন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রধান নির্বাহী নাসিব খান।
বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান তাদের ঘরের মাঠের সিরিজগুলো আয়োজন করেছে ভারত বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিজের দেশের দর্শকদের সামনে খেলার স্বপ্ন দেখছেন নাসিব।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিতে এসে ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা এখন আমাদের জন্য বাস্তবিক এক সম্ভাবনা। ২০২১ সালের আগে দেশজুড়ে সংঘাত থাকায় আমরা অনেক প্রদেশেই ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করতে পারতাম না। কিন্তু এখন, আলহামদুলিল্লাহ, পুরো দেশে শান্তি বিরাজ করছে। আমরা কুন্দুজে ওয়াখান টি-টোয়েন্টি কাপ এবং হেলমান্দে তিন দিনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব আয়োজন প্রমাণ করে আমরা কতটা এগিয়েছি। নিরাপত্তার আরও উন্নয়ন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা বিশ্বাস করি, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন সম্ভব হবে।’
নাসিব জানান, ইতোমধ্যেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তার কথা, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাস মাত্র ১৫ বছরের, এতে অবকাঠামো বাড়ানো কঠিন ছিল। তবু এখন আমাদের ৮ থেকে ১০টি মানসম্মত মাঠ রয়েছে কাবুল, জালালাবাদ, কান্দাহার, খোস্ত, জাবুল, পাকতিয়া, কুনার ও কুন্দুজে।’
ঘরের মাঠে খেলতে পারছে না আফগানরা। তাই ভারত, আরব আমিরাতের দ্বারস্থ হতে হয় প্রতি হোম সিরিজের আগে। ঘরের মাঠে না খেলার কারণে যে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, তা মোকাবিলায় কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘বাজেট সংকট কাটিয়ে দ্রুত আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে এসব দেশের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনে বোর্ড এবং দলের স্থির নেতৃত্বকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন নাসিব। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে, স্থিরতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জোনাথন ট্রট গত তিন বছর ধরে আমাদের প্রধান কোচ, হাসমতউল্লাহ শাহিদি পাঁচ বছর ধরে অধিনায়ক, রশিদ খানও গুরুত্বপূর্ণ ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার এবং বোর্ড চেয়ারম্যানের মেয়াদও তিন বছরের জন্য বাড়িয়েছে সরকার। এতে আমরা আমাদের শুরু করা কাজগুলো শেষ করতে পারব।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.