জুলাই হামলাকারীর সঙ্গে সাদিক কায়েমকে জড়িয়ে অযথা অপমান করা হচ্ছে

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা আবু সাদিক কায়েমকে জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক হাসান সাইদির সঙ্গে জড়িতে সাদিক কায়েমকে অযথা অপমান করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রেজবী

রোববার রাতে তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে রেজবী জানান, ‘জুলাইয়ের হামলাকারী হাসান সাইদিকে জড়িয়ে সাদিক কায়েমকে অযথা হিউমিলেয়েট করা হচ্ছে।এই হাসান সাইদি আমার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র। আমি তাকে ১৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে হামলা করতে দেখি। মামলায় নামও দিছি আমি। তাছাড়াও তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করানোর ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে বড় রোল প্লে করেছিলাম, প্রুফসহ সব কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।’

তিনি লেখেন, যখন লুকিয়ে ঢাবিতে পরীক্ষা দিতে আসে তাকে পাকড়াও করে ছোটভাই মঈনুদ্দিন মাহাদী। এরপর তাকে পুলিশে দেই, মামলা করি— তিনি জেলেও যান। আমি এক সময় শিবির করেছি। এই হাসান সাইদি যদি কোনো দিন শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত থেকেও থাকে তাও আমি তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করেছি। মামলার চার্জশিটও রেডি।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন হাসান সাইদীকে গ্রেফতার থেকে বাঁচাতে সাদিক কায়েম তদবির করেছিল।

কিন্তু সাদিক কায়েম এমন কোন তদবির করেননি উল্লেখ করে রেজবী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, সাদিক যদি সাইদিকে বাঁচাইতেই চাইতো তাহলে সাদিক কায়েম আমাকেই বলতো। আমি তার রুমমেট ছিলাম এবং আমি এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লেয়ার। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। সুতরাং সাইদি ইস্যুতে হুদাই আলাপ দিয়ে লাভ নাই। এসব জিনিস এনসিপি গঠনের আগে। সুতরাং কেউ এনসিপি-বাগছাস-শিবির হিসেবে জড়ায়েন না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More