মাথাভাঙ্গা মনিটর: কথাটাকে কি পরিচিত মনে হচ্ছে? হ্যাঁ, যা ভেবেছেন ঠিক তাই। গ্লেন ম্যাকগ্রা আবারও অ্যাশেজের আগে ফিরে এসেছেন তার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে। জানিয়েছেন, এবারের অ্যাশেজ জিতবে অস্ট্রেলিয়া, সেটাও ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে। ছয়বার অ্যাশেজ জেতা এই কিংবদন্তি প্রতিটি সিরিজের আগে সাহসী ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত। ২০২৩ সালের সিরিজ শুরুর আগেও তিনি একই কথা বলেছিলেন। তবে সে সিরিজ অবশ্য ২-২ ড্র হয় এবং অস্ট্রেলিয়া শিরোপা ধরে রাখে। ম্যাকগ্রার এবারের ভবিষ্যদ্বাণীটাকে অমূলক মনে হচ্ছে না। কারণ, ইংল্যান্ড ২০১৫ সালের পর অ্যাশেজ জেতেনি। এরপর দুইবার হেরেছে, দুইবার ড্র করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় তাদের রেকর্ড আরও খারাপ। ২০১০-১১ মরসুমের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো টেস্টই জিততে পারেনি। ম্যাকগ্রা বিবিসি রেডিও ৫ লাইভকে বলেন, ‘আমি কি কখনো ভবিষ্যদ্বাণী করি না? এবারও আলাদা কিছু বলব না, ৫-০। আমাদের দল নিয়ে আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। যখন আপনার কাছে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড আর নাথান লায়ন থাকে নিজের মাঠে, তখন এটা খুব কঠিন। তার ওপর ইংল্যান্ডের রেকর্ডও আছে। দেখা যাক তারা একটি টেস্টও জিততে পারে কিনা।’ ২০২১-২২ মৌসুমে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ায় ৪-০ ব্যবধানে হেরেছিল। এরপর কামিন্সের দল নিজেদের মাঠে দাপট ধরে রেখেছে। শেষ ১৫ টেস্টে তারা মাত্র দুইবার হেরেছে, ১১টি জিতেছে, দুইটি ড্র করেছে। তবে বোলিং আক্রমণ নিয়ে আস্থা থাকলেও ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা শঙ্কা আছে ম্যাকগ্রার। বিশেষ করে টপ অর্ডার এখনও থিতু হয়নি। উসমান খাওয়াজা, ক্যামেরন গ্রিন ও মার্নাস লাবুশেন ফর্মে নেই। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাসও এখনও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। তবুও ম্যাকগ্রা মনে করেন, মূল লড়াই হবে ইংল্যান্ডের শীর্ষ সাত ব্যাটার আর অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে। তিনি জো রুট ও হ্যারি ব্রুককে মূল খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন। ম্যাকগ্রা বলেন, ‘এই সিরিজ রুটের জন্য বড় কিছু হতে পারে। সে কখনো অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে পারেনি, এমনকি এখানে শতকও নেই। তাই সে নামতে উদগ্রীব থাকবে। সে ভালো ফর্মে আছে।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.