জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা প্রকৗশলী মাহবুবউল হক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার স্কয়ার হাসাপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গত বৃৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাহবুবউল হক উপজেলা কোয়ার্টারে ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হন। আজ রোববার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার জেলার মিরপুর উপজেলার বহুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবউল হক উপজেলার বহুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। গত বছর জীবননগর এলজিইডিতে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে তিনি যোগদান করেন। তিনি উপজেলা কোয়ার্টারে একাই থাকতেন। বরাবর তিনি সকাল-সকাল অফিস করতেন। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার মধ্যেও তিনি অফিসে না আসায় অফিস হতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়; কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফলে এলজিইডির সাবেক অফিস সহায়ক মনির হোসেন তার খোঁজ নিতে বাসায় গিয়ে বাথ রুম হতে গোঙড়ানির শব্দ শুনতে পান। এসময় তিনি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানিয়ে সহায়তা চান। প্রকৌশলী রফিক দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ তাৎক্ষনাত কোয়ার্টে ছুটে এসে বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত নেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত তাকে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় এ দিনই তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালে ২দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গতকাল বিকেল ৫টার দিকে তিনি মারা যান বলে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবউল হক মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.