সূর্যের সেই বিশ্বকাপ জেতানো ক্যাচের আগে বাউন্ডারির দড়ি পেছানো হয়!

টানটান ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ২০২৪ সালের বার্বাডোজের মাঠে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারের দুরন্ত ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। বাউন্ডারির ধারে নিজের ভারসাম্য ধরে রেখেছিলেন তিনি। দড়িতে পা দেননি। এতদিন সেই ক্যাচ নিয়ে শুধু প্রশংসাই ঝরেছে সবার কণ্ঠে।

তবে এবার সেই ক্যাচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অম্বাতি রায়ডু। তার দাবি, ফাইনালে সূর্যকুমারের ক্যাচের আগে বাউন্ডারির দড়ি পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে রায়ডু ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ছিলেন। তার দাবি, চোখের সামনে সেই ঘটনা দেখেছিলেন তিনি।

ফাইনালে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন মিলার। প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল, বল বাউন্ডারির বাইরে যাবে। লং অফে ফিল্ডিং করছিলেন সূর্য। বেশ খানিকটা দৌড়ে বল তালুবন্দি করেন তিনি। কিন্তু শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন ছিল। কয়েক পা দৌড়ে বল হাওয়ায় ছুড়ে বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। আবার মাঠের ভিতরে ঢুকে বল তালুবন্দি করেন। সেই ছক্কা হলে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার থাকত ৫ বলে ১০ রান। অর্থাৎ, জেতার সুযোগ অনেকটা বেড়ে যেত। কিন্তু মিলার আউট হওয়ায় সেখানেই তাদের আশা শেষ হয়ে যায়।

সূর্যের ক্যাচ নিয়ে শুভঙ্কর মিশ্রের ইউটিউব ভিডিও-তে মুখ খুলেছেন রায়ডু। তিনি বলেন, বিরতির সময় সম্প্রচারকারী চ্যানেল বাউন্ডারির কাছে চেয়ার পেতেছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে ধারাভাষ্যকারেরা কথা বলছিলেন। চেয়ার পাতার সময় বাউন্ডারির দড়ি কিছুটা সরানো হয়েছিল। পরে আর সেটা আগের জায়গায় ফেরানো হয়নি।

এক্ষেত্রে কৌশলে ভারতকে দায়ী না করে শুধু সম্প্রচারকারী চ্যানেলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

রায়ডু আরও বলেন, আমরা কমেন্ট্রি বক্স থেকে পুরোটা দেখেছিলাম। বাউন্ডারির দড়ি নিজের জায়গায় থাকলে সেটা ছক্কা হত কি না তা বলতে পারব না। তবে সূর্য যে ভাবে দৌড়ে ক্যাচ ধরে নিজের শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখেছিল সেটা অসাধারণ। ওই ম্যাচে ঈশ্বর আমাদের পাশে ছিলেন।

তবে রায়ডুর এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা কোনও অভিযোগ না করলেও নেটিজেনদের অভিযোগ ছিল যে বাউন্ডারির দড়ি পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। তার জন্য ভারতকে দায়ী করেছিলেন তারা। আবার অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, সূর্যের পা বাউন্ডারির দড়িতে লেগেছিল। সেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন রায়ডু।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More