আফ্রিদির অপকর্মের বর্ণনা দিলেন বন্ধু রাহী

কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার অপকর্মের কাহিনী প্রকাশ করতে শুরু করেছেন তার বন্ধু ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তানভীর রাহী। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি আফ্রিদিকে ‘ভয়ংকর’ চরিত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একসময় আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাহী।

রাহী দাবি করেন, আফ্রিদিকে তিনি বাঘের মতো ভয় পান। তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটরও আফ্রিদির ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন।

তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাহীর ভিডিও সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে আফ্রিদি একরকম হলেও ব্যক্তিজীবনে সম্পূর্ণ ভিন্ন মানুষ। ক্যামেরার বাইরে সে ভয়ংকর। ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই তাকে বাঘের মতো ভয় পায়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকেই আফ্রিদির বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময় তার রাগের শিকার হয়েছিলেন রাহী নিজেও। ‘রাগ উঠলে সে বেল্ট খুলে আমাদের কুত্তার মতো পেটাতো, যেন আমরা মানুষ না— পোষা জন্তু!’ বলেন তিনি।

বিভিন্ন সময় তৌহিদ আফ্রিদি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন করাতেন।

রাহী বলেন, ‘যখন ওর মনে হতো কেউ তার বিরুদ্ধে কাজ করছে, তখন ফোন করতো। ক্ষমতা দেখাতো। আন্দোলনের দুই-তিন মাস পর এক রাতে আমাকে ভিডিও কল দেয়। ভয় পেয়ে যাই। ফোন ধরার পর বলে, তোর সঙ্গে একজনের কথা বলাব—সে শিগগিরই দেশের বড় মাপের কেউ হবে। এরপর ভিপি নূরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। পরে বলে, বুঝছিস আমার অবস্থানটা? সাবধানে থাকিস।’

৫ আগস্টের পরও দেশে ভালোই ছিলেন আফ্রিদি, এমনটাই দাবি রাহীর। আফ্রিদির চরিত্র প্রসঙ্গে রাহী বলেন, ‘তার মনুষ্যত্ব নেই, শুধু প্রতিশোধের চিন্তা। কারে কারে ধরবেন, কারে কারে মারবেন—এই চিন্তাই তার মাথায়। আল্লাহ কখনো এমন মানুষকে ছাড় দেন না।’

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল মহানগরের বাংলাবাজার এলাকায় সিআইডির বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন তৌহিদ আফ্রিদি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More