ভালো দল হওয়ার চেষ্টায় বাংলাদেশ

তিন ম্যাচের মধ্যে একদিন করে সময় পাচ্ছে দু’দল। আগেরদিন ম্যাচ খেলার পরও রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পুরো দল নিয়ে অনুশীলন করেছে নেদারল্যান্ডস।

অন্যদিকে আট উইকেটের দারুণ জয়ের পর বিশ্রামে ছিলেন স্বাগতিক দলের ক্রিকেটাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ না পাওয়ায় নুরুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শামীম পাটোয়ারীকে নিয়ে পুরো কোচিং স্টাফ কাল অনুশীলনে হাজির হয়েছিল।

আজ সন্ধ্যায় ৬টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ডাচদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আজও দাপুটে জয়ের অপেক্ষায় টাইগাররা। তবে এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে এই সিরিজ দিয়েই নিজেদের প্রস্তুতিতে পূর্ণতা আনতে চায় বাংলাদেশ। ভালো দল হওয়ার পথে কোনো ধরনের ঘাটতি রাখতে চায় না তারা।

শ্রীলংকা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর, দেশের মাটিতেও পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফিটনেস ক্যাম্প, স্কিল অনুশীলন, পাওয়ার হিটিং কোচের অধীনে অনুশীলন এবং ডাচদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়ের পর বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ একটি দল মনে হচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্য চাহিদা এখানেই থামছে না। ফাঁকফোকরগুলো আরও ভালোভাবে বের করে সমাধান করতে চায় তারা।

কাল সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এশিয়া কাপে আমাদের ভালো খেলতে হবে, সেটাও আমরা জানি। সেগুলো মনের ভিতরে আছে। এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির একটি জায়গা। যেখানে আমরা প্রতিদিন আসলে কিছু না কিছু উন্নতি করতে পারি। একটি ভালো দল হওয়ার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার, আমরা চেষ্টা করছি সেটাই করার।’

টানা দুটি সিরিজ জয়ের পরও বেশ কিছু জায়গায় দুর্বলতা চোখে পড়ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। তবে ধারাবাহিক প্রস্তুতি ও প্রয়োগ নিয়ে খুশি সালাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতি তো সবসময় হয়। যেহেতু এবারে একটু লম্বা সময় পেয়েছি, এ কারণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ ছিল। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব জায়গা নিয়ে কাজ করতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি ফাঁকা সময় পাই না। ছেলেদের পারফরম্যান্স, স্কিল ডেভেলপ করার সুযোগ থাকে কম। এবার যেহেতু পেয়েছি, এটা আমাদের জন্য ভালো দিক হবে এবং ভবিষ্যতেও যখন পাব, তখন আবারও করব। দলের উন্নতি কখনোই থেমে থাকে না। চলমান প্রক্রিয়া। এই সিরিজে জয়। এরপর এশিয়া কাপ হলেই যে আমাদের কাজ শেষ ব্যাপারটা এমন নয়।’

এদিকে দল ধারাবাহিক জয় পেতে থাকলে দুর্বলতা চোখে পড়ে কম। পাকিস্তান সিরিজে রান না পাওয়া লিটন দাস অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন, সাইফ হাসান দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে সেটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। বোলিং বিভাগের উন্নতি চোখে পড়ার মতো।

সালাউদ্দিন মনে করছেন, বড় ক্রিকেটার হওয়ার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন এই দলের অনেকের মধ্যেই সেটা রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More