শহীদ জিয়ার সমাধিতে ওসমানীর স্যালুট নিয়ে যা বললেন ফারুকী

জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মদিন আজ। বিশেষ এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ককে স্মরণ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এক ফেসবুক পোস্টে মুক্তি সংগ্রামের এই বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মোহভাবে তুলে ধরার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘ওসমানী বা জিয়াউর রহমানকে আমাদের ইন্টেলিজেন্সিয়া সেলিব্রেট করে না। একই ইন্টেলিজেন্সিয়া, যারা অ‍্যাপারেন্টলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু মাঠে যুদ্ধ করল যারা, যুদ্ধের ঘোষণা দিলো যারা তাদেরকে আমাদের ইতিহাসের পাতা থেকে যতটা সম্ভব দূরে অথবা কম আলোকিত করে রাখা হয়েছে।’

তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ইতিহাসের ওই ক্রিটিক্যাল প্রশ্নগুলো অ্যাড্রেস করা হয়নাই যে, যুদ্ধ চলাকালীন ওসমানীর বক্তব্য কী ছিল। ওনার কি কোনো বিষয়ে ভিন্নমত ছিল? ১৬ ডিসেম্বর তিনি কেন হাজির ছিলেন না? মুক্তিবাহিনী অথবা মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে কেন ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হলো? সময় এসেছে এ রকম সব প্রশ্ন তোলার। শুধু প্রশ্নই না, এই বিষয়ে ইতিহাসের সত‍্যগুলোও নির্মোহভাবে তুলে ধরার।’

ফারুকী আরও লেখেন, ‘সময় এসেছে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের পাশাপাশি ৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে বাংলাদেশের মানুষ যেসব অন্যায় অত্যাচারের মধ্যদিয়ে গেছে, সেসব নির্মোহভাবে তুলে ধরার। আমরা এই কাজটা শুরু করে যাবো। আমার বিশ্বাস পরবর্তী সরকার এসে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ একটা জাতিকে শোষণ করার প্রথম ধাপ তার ইতিহাস-সংস্কৃতি নাই করে দেওয়া। অথবা শোষকের সুবিধামাফিক ইতিহাস তৈরি করে দেওয়া। শুভ জন্মদিন, জেনারেল ওসমানী।’

মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু দৃশ্যের কথা স্মরণ করে ফারুকী লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ওনার কিছু ফুটেজ আমার চোখে লেগে আছে। তবে একটা শট আমার চোখে আজীবন লেগে থাকবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ওনার কবরে দাঁড়িয়ে তার স‍্যালুট। আ রেয়ার মোমেন্ট অব লাভ অ্যান্ড রেসপেক্ট ফ্রম দ‍্য জেনারেল টু দ‍্য কমান্ডার।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More