মেহেরপুর থেকে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৯ জন

বেশিরভাগই কৃষক, দিনমজুর ও ভ্যানচালকের সন্তান“সেবার ব্রতে চাকরি” শ্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে মেহেরপুর জেলা থেকে ৯ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মেহেরপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ নয়জন প্রার্থীর অধিকাংশই কৃষক, দিনমজুর ও ভ্যানচালকের সন্তান। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও সংগ্রামের ফলস্বরূপ তারা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হওয়ার সুযোগ পেলেন। ফলাফল ঘোষণার সময় প্রার্থীদের পরিবারের চোখে আনন্দাশ্রু ঝরতে দেখা যায়।

দিনটিতে এক আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায়—একজন ভ্যানচালক বাবা ছেলের ফলাফল নিতে এসে জানতে পারেন ছেলে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি পেয়েছে। মুহূর্তেই তিনি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে আনন্দাশ্রুতে ভেসে যান। পরে সেই ভ্যানেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। উপস্থিত অনেকে দৃশ্যটি দেখে আবেগাপ্লুত হন।

অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ফ্রি প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছে—কোনো টাকা-পয়সা খরচ করতে হয়নি। এজন্য তারা বাংলাদেশ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে চাকরি পাওয়া তরুণরাও নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কোনো প্রকার ঘুষ বা অবৈধ লেনদেন ছাড়াই শুধুমাত্র নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন। এ কারণে তারা খুবই খুশি এবং গর্বিত।

নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “নিয়োগের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কাজ করেছি। কোনো প্রকার অনিয়মের সুযোগ রাখা হয়নি।”

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More