বিশ্ব রেকর্ড করতে গিয়ে ভেঙে পড়ল নাইজেরিয়ান শেফের বিশাল হাঁড়ি

বিশাল হাঁড়িতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জলফ রাইস রান্না করার চেষ্টা করছিলেন নাইজেরিয়ান শেফ এবং সাবেক গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী হিল্ডা বাচি।

কিন্তু হাড়িটি ওজন করার জন্য ক্রেনে তোলার সময় ভেঙে যায়। খবর বিবিসির।

জনপ্রিয় ফুড ইনফ্লুয়েন্সার বাচির সর্বশেষ বিশ্বরেকর্ড দেখার জন্য লাগোসে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ২০২৩ সালে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।

পশ্চিম আফ্রিকার জনপ্রিয় খাবার জলফ রান্নার জন্য হিল্ডা বাচির রেসিপিতে ছিল ৪ হাজার কেজি চাল, ৫০০ কার্টন টমেটো পেস্ট এবং ৬০০ কেজি পেঁয়াজ। সব উপকরণ ঢালা হয়েছিল বিশেষভাবে তৈরি ২৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ওই হাঁড়িতে।

এই খাবার রান্না করতে সময় লেগেছে ৯ ঘণ্টা। তবে দুটি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিশাল খাবার ভর্তি হাঁড়িটি ওজন করা সম্ভব হয়নি।

তবে বাচির দলের এক সদস্য বিবিসিকে জানান, তারা বিভিন্ন ক্যামেরা থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করছেন, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (জিডব্লিউআর)-এ পাঠানো হবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য। সংস্থাটি আগেই ২৮ বছর বয়সী বাচিকে টুইট করে শুভকামনা জানিয়েছে।

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বিশাল লাল হাঁড়িটি তোলার সময় এক পাশে বেঁকে যায় এবং ভর ধরে রাখার জন্য দেওয়া সহায়ক পায়াগুলো ভেঙে পড়ে। তবে হাঁড়িতে থাকা খাবার পড়ে যায়নি।

পরে এই বিশাল জলফ রাইসের পদ—যার মধ্যে ১৬৮ কেজি ছাগলের মাংসও ছিল—ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে জনতার মধ্যে বিতরণ করা হয়।

শেফ হিল্ডা বাচি বিবিসি পিজিনকে জানান, এই বিশাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরিকল্পনা করতে তার এক বছর সময় লেগেছে।

তার সঙ্গে ছিলেন লাল ইউনিফর্ম পরিহিত আরও ১০ জন শেফ, যারা লম্বা কাঠের চামচ দিয়ে খাবার নাড়তে সাহায্য করেছেন।

তার বিশাল পদ রান্নার জন্য তৈরি ইস্পাতের হাঁড়িটি বানাতে ৩০০ জনের একটি দলের দুই মাস সময় লেগেছিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে হাঁড়িটির একটি পা ভেঙে যায়।

জলফ রাইস পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক দেশের প্রধান খাবার। এটি টমেটো সসে চাল সেদ্ধ করে তৈরি হয় এবং প্রায়ই মাংস বা সামুদ্রিক খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

বাচি ২০২১ সালে জলফ রাইস প্রতিযোগিতায় জয়ী হন এবং ২০২৩ সালে ৯৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট—অর্থাৎ প্রায় চার দিন—টানা রান্না করে বিশ্বের দীর্ঘতম রান্না ম্যারাথনের রেকর্ড গড়ে আলোচনায় আসেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More