আসিয়ান ডিজিটাল নেশনস ইনডেক্স ২০২৫-এ সিঙ্গাপুরের পর দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে মালয়েশিয়া। ডিজিটাল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই অর্জন দেশটিকে আঞ্চলিক নেতাদের কাতারে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ‘আচিভিং দ্য আসিয়ান কানেক্টিভিটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া ১০০-এর মধ্যে ৬০-এর বেশি স্কোর করেছে। ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে দেশটি এখন ডিজিটালভাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ সারিতে।
পাঁচটি সূচকের মধ্যে—অবকাঠামো, উদ্ভাবন, ডেটা গভর্নেন্স, নিরাপত্তা ও জনগণ—মালয়েশিয়া ৭৬ থেকে ১০০-এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে জনগণের ক্ষেত্রে। ডিজিটাল পরিষেবার প্রসার এবং কর্মী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগকে এই সাফল্যের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে অবকাঠামো, উদ্ভাবন এবং নিরাপত্তার দিকগুলোতে মালয়েশিয়ার স্কোর মাঝারি (২৫-৪৯)। এ ক্ষেত্রগুলোতে আরও উন্নতির প্রয়োজনীয়তা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে মালয়েশিয়ার সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেছে জিএসএমএ। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াল ন্যাশনাল ফার্মওয়ার্ক ২০২৫: প্রতিটি নাগরিকের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা নিশ্চিতের জাতীয় কৌশল। রাইট ব্যাংক: দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ এআই-চালিত ব্যাংকিং পরিষেবা, যা স্বদেশী ভাষা মডেল আইএলএমইউ ব্যবহার করে বাহাসা মালয়েশিয়া, ইংরেজি ও ম্যাংলিশ ভাষায় স্বজ্ঞাত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
২০২৫ সালের জুলাই থেকে মালয়েশিয়া ডিজিটাল ইকোনমি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯.৪৭ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। মূলত ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড কম্পিউটিং খাতে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৪ এবং নতুন ডেটা স্থানান্তর নির্দেশিকা প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল আইনি কাঠামো শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জিএসএমএ রিপোর্টে উপসংহারে বলা হয়েছে, আসিয়ান উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং ডিজিটাল প্রস্তুতি উন্নত করা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.