আব্দুল্লাহ হক:বাগেরহাটে সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ, অসন্তোষ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নিহত সাংবাদিকের পরিবার ও সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তদন্তের অগ্রগতি জানার জন্য সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, নিহত সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
সাংবাদিক নির্যাতন-প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা চরম হুমকির মুখে পড়বে।” সংগঠনটি বাগেরহাটের এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাগেরহাটে যাচ্ছেন সংগঠনের প্রধান মো. খায়রুল আলম রফিক (দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ), পরিচালক (তদন্ত) গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু (কালের কণ্ঠ), পরিচালক (অপারেশন ও গণমাধ্যম) আজহারুল হক (প্রথম আলো), পরিচালক (সেবা ও গণমাধ্যম) সোহাগ আরেফিন (প্রতিদিনের কাগজ) এবং ইউনিট প্রধান রেজাউল করিম রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও স্থানীয় সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। মানববন্ধন থেকে সাংবাদিক নেতারা দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে সারাদেশের সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ উদঘাটনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.