পি.আর পদ্ধতি, জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধসহ ৫-দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামীর স্বারকলিপি প্রদান ও মোটরসাইকেল র্যালি
স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ রবিবার ৫-দফা দাবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানানো হয় এই স্মারকলিপিতে।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিশাল র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় শত শত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাদের ৫-দফা দাবি সংবলিত স্লোগান ও বক্তব্য তুলে ধরেন।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
জেলা আমির এ্যাড রুহুল আমিন, স্মারকলিপি প্রদান শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন এসময় তিনি সবগুলো দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান, পরে নেতাকর্মীরা পুনরায় শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছে। সরকার ইতোমধ্যেই ‘জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রস্তুত করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই সনদের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনের জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে। জামায়াতে ইসলামীর মতে, সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান ও তার অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র ৫-দফা দাবিসমূহ হলো: আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজন করা।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে, যা বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ার ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, নায়েবে আমির মাওলানা আজিজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল এবং আব্দুল কাদের, শফিকুল ইসলাম বকুল, দারুস সালাম, হাসিবুল ইসলাম, সাগর, আমিরুল ইসলাম সহ অঙ্গসংগঠনের হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.