চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা-অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা, সার-বীজ ও হোটেল তদারকি।

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ, ২০ অক্টোবর সোমবার সদর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ ও আমিরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নীলমনিগঞ্জ ও আমিরপুরের বিভিন্ন সার, বীজ, ঔষধের দোকান এবং হোটেল তদারকি করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট সেষট্টি হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়। এর মধ্যে, খাবার খোলা রাখার দায়ে মেসার্স বিসমিল্লাহ হোটেলকে ৩ হাজার টাকা এবং মেসার্স মুক্তা মিষ্টি হোটেলকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, অবৈধভাবে সার বিক্রয়ের অপরাধে মেসার্স মোস্তফা ট্রেডার্সকে বিশ হাজার টাকা, মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় সংশ্লিষ্ট বাজারে অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—পণ্যের মূল্য তালিকা হালনাগাদ করা, নির্ধারিত মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা, সার ও কীটনাশক ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করা এবং কোনো অবস্থাতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মানহীন ঔষধ, বীজ বা সার বিক্রি না করা।
অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ মামুনুল হাসান।
সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনাব আসিফ ইকবাল, ক্যাব (কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) প্রতিনিধি জনাব মো: রফিকুল ইসলাম এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি ও অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More