স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকদের জন্য একটি স্বস্তির খবর দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার। তিনি দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, জেলায় সারের কোনো সংকট নেই এবং কৃষকের প্রয়োজন মেটাতে সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে।
উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার নিশ্চিত করেছেন যে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সরকার চুয়াডাঙ্গায় সারের বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে। এই বর্ধিত বরাদ্দ জেলার খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো অনিয়ম বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। সার কারসাজি বা অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, সারের প্রকৃত চাহিদা নয়, বরং অতিরিক্ত ও অপরিমিত ব্যবহারের কারণেই মূলত চাহিদা বেশি মনে হচ্ছে। তিনি কৃষকদের সতর্ক করে জানান, জমিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে মাটির ক্ষতি হচ্ছে এবং পরবর্তী আবাদে আরও বেশি সারের প্রয়োজন হচ্ছে, যা কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়াচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আবাদি জমির বাইরে পুকুরে মাছ চাষ ও তামাক আবাদের মতো কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত পরিমাণের চেয়ে বেশি সার ব্যবহৃত হচ্ছে, যার কারণেও বাজারে অতিরিক্ত চাহিদার ধারণা তৈরি হচ্ছে।
উপ-পরিচালক জেলার কৃষকদের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন:সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জমিতে সারের সঠিক ও সুষম ব্যবহার করুন।
গুজবে কান না দেওয়া বাজারে বা অন্য কোথাও ছড়ানো কোনো প্রকার গুজবে কান না দিয়ে সরকারি তথ্য ও পরামর্শের ওপর আস্থা রাখুন।সুষম বন্টন: তিনি গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সারের সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে সচেতনতা সৃষ্টিতে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
কৃষি বিভাগ সব সময় কি কৃষকদের জন্য কাজ করতে পাশাপাশি সবকিছু মনিটরিং করছে যাতে কোন অনিয়ম না হয়।
মো. মাসুদুর রহমান সরকার জানান, এই মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় ৪৭,৯৫২ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গাকে আধুনিক ও কৃষিনির্ভর জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবসময় কৃষকদের পাশে থাকবে। এই প্রচেষ্টা জেলার কৃষি অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.