ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া-ভালাইপুর সড়কের মহেশপুর মোড় থেকে সাংবাদিক ও স্থানীয় কৃষকদের সহায়তায় ৩০ বস্তা রাসায়নিক সার আটক করেছে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস।
সারগুলো ভাংবাড়িয়ার আলোচিত ব্যবসায়ী মিনারুলের দোকান থেকে কুমারী ইউনিয়নের গোপীবল্লভপুরের জিনারুলের কাছে যাচ্ছিল।
উপসহকারী কৃষি অফিসার খাদেমুল বাসার জানান গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে সার বুঝায় একটি নষ্ট আলম সাধু মহেশপুর মোড়ে পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে ৩০ বস্তা রাসায়নিক সার আটক করা হয়।
আলম সাধু চালক জানান আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়নের গোপীল্লভপুরের জিনারুল ইসলাম ভাংবাড়িয়া গ্রামের মিনারুলের দোকান থেকে সার গুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কে তার কাছে সারের কোন রশিদ না থাকা এবং তিনি সঠিক তথ্য দিতে না পারায় উপজেলা কৃষি অফিসারের নির্দেশনায় সারগুলো জব্দ করা হয় । এ সময় সাংবাদিক ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সাংবাদিকদের সহায়তায় গত শুক্রবারে হাটবোয়ালিয়া বাজার থেকে একই দোকান থেকে কেনা ১২ বস্তা রাসায়নিক সার আটক করা হয়।
এ সময় স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন ,ভাংবাড়িয়ায় সাফি মিয়ার ডিলারের দোকানে গিয়ে ঠিকমতো সার পাওয়া যায় না । আর মিনারুলের দোকান বেশি টাকা দিলেই সার পাওয়া যায়।
সরকারের ভর্তুকির সার ব্যবসায়ী এবং ডিলাররা সিন্ডিকেট করে ডাবল দামে বিক্রি করছে। ডিলারের কাছে চাহিদা অনুযায়ী সার না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার সকালে তিনি ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন ডিলার পয়েন্টে এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
সেই সাথে সার আটকে সহাযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.