অপহরণের ২৪ দিন পর ৪ ব্যক্তি উদ্ধার; আটক-৪

স্টাফ রিপোর্টার:জীবননগর থেকে অপহরণের ২৪ দিন পর যশোরের ঝিকরগাছা থেকে ৪ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (০৫ নভেম্বর) ভোররাতে ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের একটি খামার থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গার গোয়েন্দা পুলিশ। জীবননগর সীমান্ত দিয়ে একটি স্বর্ণ চালান খোয়া যাওয়ার ঘটনায় গত ১২ ও ১৩ অক্টোবর তাদেরকে অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে চারজনকে।

পুলিশ জানিয়েছে, জীবননগরের গোয়ালপাড়া গ্রামের মাঠপাড়ার শওকত আলী (৫৩) তার ছেলেসহ কয়েকজনকে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্বর্ণ চোরাচালান ও আত্মসাতকে কেন্দ্র করে গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় জীবননগরের গোয়ালপাড়ার মাঠপাড়ার শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও আনারুল ইসলামকে (৫০) অপহরণ করা হয়। এর পরদিন সকালে গোয়ালপাড়ার ক্লাবপাড়ার হাসান মিয়া (২৬), আবুল হোসেন (২৭) ও স্বপন ইসলামকে (৪৪) অপহরণ করা হয়।

ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, একই এলাকার আব্দুল মজিদ(৪০), মিজানুর রহমান রুবেল (৩০), লালন মন্ডল (৪২), আব্দুস সামাদ (৪৫), বিপ্লব হোসেন (৫০) ও শাহীনকে (৩২)।

এ অভিযোগের পর মাঠে নামে পুলিশ। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে যশোরের ঝিকরগাছার কুল্লা গ্রামের রেজাউলের খামারে তাদের অবস্থান নিশ্চিতের পর সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বুধবার ভোরে অপহৃত ৪ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় ওই খামার থেকে আটক করা হয় শফিকুল ইসলাম (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৪০), সাগরিকা খাতুন (২৮) ও গ্রাম্য চিকিৎসক বিকাশ দেবনাথকে (৩০)। তবে খামার মালিক রেজাউল ইসলাম ও আব্দুল গফ্ফার ইতিমধ্যেই পালিয়ে গেছেন।

বুধবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জামাল আল নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে অপহৃতরা জানিয়েছেন- স্বর্ণের ৫০ পিস বার খোয়ার কারণে তাদের অপহরণ করা হয় এবং বন্দি থাকা অবস্থায় তারা অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা এবং ভিকটিমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছিল। বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More