খাদিমপুরে গণজোয়ার: জনগণের সঙ্গে একাকার হয়ে ধানের শীষের প্রচার শরীফের ৩১ দফা আপনাদের জীবনে মুক্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনবে

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পাওয়ার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফের প্রচারণা এখন আর নিছক ভোট চাওয়া নয়, তা যেন জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আবেগ, আস্থা ও ভালোবাসার এই বাঁধনই তাঁর গণসংযোগকে প্রতিদিনই উৎসবে পরিণত করছে। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন মো: শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি এই ইউনিয়নটির কমলাপুর, শিবপুর, আলিয়াট নগর, কান্তপুর, রংপুর, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান। যেখানেই তিনি গেছেন, সেখানেই মানুষ প্রিয় নেতাকে ঘিরে ভিড় করেছেন। এই সময় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন এবং ব্যক্তিগত কষ্টের গল্প মনোযোগ দিয়ে নোট করেন।
খাদিমপুরের গ্রামে গ্রামে মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর মো: শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, এই খাদিমপুরের প্রতিটি মানুষের চোখে আমি যে কষ্ট আর প্রত্যাশা দেখছি, তা-ই আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহস যোগায়। আমি শুধু ভোট চাইতে আসিনি, এসেছি আপনাদের জীবনের পরিবর্তন ঘটানোর অঙ্গীকার নিয়ে। আপনারা জানেন, গত দেড় দশক ধরে আপনাদের ফসলের ন্যায্য দাম ছিল না, সন্তানের চাকরির জন্য হয়রানি সইতে হয়েছে, আর সুবিচারের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছে। এই জীবন কি আপনারা আর চান?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই কারণেই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এই রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে দেশের কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক—সবাই তার অধিকার ফিরে পাবে। ৩১ দফায় আমরা সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার এবং আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছি। ধানের শীষের বিজয় মানে আপনাদের জীবনে মুক্তি ও শান্তি ফিরিয়ে আনা। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হওয়ার পরও আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকব। আপনারা আর ভয় পাবেন না, এবার শুধু ধানের শীষে ভোট দিয়ে আপনাদের সেই অধিকার ফিরিয়ে আনুন।’

এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বিপ্লব, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সরোয়ার রোমান, জেলা মতসজিবি দলের সাবেক আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল আলম জোয়ার্দার বিলু, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু, শফিকুল হক সালাম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, হামিদুর রহমান টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হাসান টুটুল, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, নাইম আহমদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মওলানা ইদ্রিস আলী, খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম বিশ্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান, মহাসিন আলী, মির্জাক আলী, জসিম উদ্দিন, যুবদল নেতা মাখাউল, তুশার, বায়ইজিত, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারু আহমেদসহ ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More