‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ভোটাররা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন’

স্টাফ রিপোর্টার:জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হলে ভোটাররা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংশোধনের বিষয়টি আগে গণভোটে আসা উচিত। সে জন্য ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী দলগুলোর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে মিসগাইড করা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। প্রশাসন একটি দলের নির্দেশনা মানছে।শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের আটরা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যাল মাঠে নারী ভোটার সমাবেশে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। মো. শাহাদাত হোসেন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খানজাহান আলী থানা আমির ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ইউপি সদস্য হাফেজ গোলাম মোস্তফা, মো. ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।সন্ধ্যায় ফুলতলা সদর ইউনিয়নের ঢাকুরিয়া সরকারি স্কুল মাঠে ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তরুণরাই আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। প্রায় ১৩ কোটি ভোটারের সাড়ে ৪ কোটি তরুণ ভোটার। তাদের ভোটে নির্বাচিত হবে আগামীর সরকার। সুতরাং তরুণদের পালস বুঝে সবাইকে রাজনীতি করতে হবে। এই তরুণরাই ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে আমাদের নতুন করে মুক্তি এনে দিয়েছে। তাই যারা তরুণদের চাওয়া বুঝতে ব্যর্থ হবে তারাই আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। জামায়াত এই জেনজির আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে চায়। আমরা ন্যায় ও ইনসাফের একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়তে চাই যেখানে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের চাহিদা পূরণ হবে। যেখানে চাঁদার জন্য আর কাউকে জীবন দিতে হবে না, বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে আর কাউকে আত্মহত্যা করতে হবে না। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র গড়তে সাহায্য করুন।ভোটকেন্দ্র পরিচালক মো. জুলহাস মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, যুব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা। গাজী আল আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফুলতলা উপজেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল আলীম মোল্লা, নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা শেখ ওবায়দুল্লাহ, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য ড. আজিজুল হক, শেখ মো. আলাউদ্দিন, মাওলানা জুবায়ের হোসেন ফাহাদ, মো. শাহজাহান মোল্লা, দামোদর ইউনিয়ন আমির ইঞ্জিনিয়ার শাব্বির আহমদ, সেক্রেটারি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, ফুলতলা ইউনিয়ন আমির মাস্টার মফিজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুর রহিম খাঁন, সেক্রেটারি মো. মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

পরে দামোদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতের অফিস উদ্বোধন করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। রাতে দামোদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত অনুরূপ এক ভোটার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা তৈয়্যেবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম সরদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। পরে দামোদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া ইউনিটের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।এর আগে সকালে মিয়া গোলাম পরওয়ার শিরোমণির ডাকাতিয়া গ্রামে গণসংযোগ করেন। এ সময় জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, খানজাহান আলী থানা আমির ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে রাতে ডুমুরিয়ার সাজিয়াড়া শামসুল উলুম মাদরাসার ১০৫তম বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More