ভালাইপুর প্রতিনিধি:উৎপাদিত খাদ্য ওপরিবেশবান্ধব রান্নার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং খাদ্যবর্জ্য কমানোর আহবান, চুয়াডাঙ্গায় হোটেল মালিক, রাধুনি, খাদ্য সরবরাহকারী ও কৃষকদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পরিবেশবান্ধব রান্না ও বর্জ্য হ্রাস বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগের সংস্থার মিটিং রুমে স্থানীয়ভাবে খাদ্য সংগ্রহ, পরিবেশবান্ধব রান্না এবং বর্জ্য হ্রাস শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ও রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত উপপরিচালক দেবাশিস কুমার দাস। বিশেষ অতিথি ও রিসোর্স পার্সন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র কেমিষ্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। কর্মশালায় তিনারা বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যখন দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে, তখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব রান্নার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং খাদ্যবর্জ্য কমানো এসবই আমাদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের ভিত্তি। স্থানীয় কৃষকের পণ্য কেনার মাধ্যমে আমরা শুধু তাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করি না, বরং দীর্ঘ দূরত্বে খাদ্য পরিবহনের ফলে সৃষ্ট কার্বন নিঃসরণও কমাই। তিনারা আরো বলেন, প্রতিটি পরিবার যদি রান্নাঘর থেকেই বর্জ্য পৃথকীকরণ শুরু করে এবং জৈব বর্জ্য কম্পোস্টে রূপান্তর করে, তবে শহর ও গ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে। রান্নায় কম জ্বালানি ব্যবহার, ঢাকনা দিয়ে রান্না, সোলার কুকারের ব্যবহার এসব ছোট ছোট পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখে। উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান। অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন সংস্থার প্রজেক্ট অফিসার আরিফুর রহমান, সহযোগিতায় ছিলেন সংস্থার আসাদুজ্জামান, মহিবুল হাবীব, হামিদুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.