স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি বৃকল্পের আওতায় কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষ্ণ রায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি যুগ্ম পরিচালক এ এফ এম শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনে সকলকে আগ্রহী হতে হবে। চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অত্যন্ত কৃষি নির্ভর হওয়ায় দুই ফসলা থেকে তিন ফসলা জমিতে রূপান্তরিত করতে হবে এবং সরিষা চাষ করতে হবে। ভালো ফসল উৎপাদনে ভালো বীজের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই সকলকে ভালো বীজ বপন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার হাসান আলী। তিনি বলেন বাংলাদেশের তেল উৎপাদনে ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের মোট তেলের চাহিদা ২৪ লক্ষ মেট্রিক টন, দেশে উৎপাদন হয় ৪ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে ১০ লাখ হেক্টর জমিতে ১৬ লাখ মেট্রিক টন তেল জাতীয় ফসলের চাষ হয় যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশে সরিষা, সূর্যমুখী ও তিল এই তিন ধরনের তেল জাতীয় ফসল বেশি উৎপাদন হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা সরিষার চাষের উপযোগী হওয়ায় সকল কৃষকদেরকে সরিষা চাষ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নুরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী সিরাজুম মুনিরা প্রমুখ।
সরিষা চাষে সাফল্য অর্জন করায় জেলার ৫ জন কৃষককে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।