আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদীতে কপোত-কপোতি আটকের পর ভেস্তে গেল গ্রাম্যসালিস

আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী গ্রামের ক্লাবপাড়ার গত রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিজার হোসেনের স্ত্রী আরিফা খাতুনের সাথে একই পাড়ার রাজ্জাক আলীর ছেলে রাজন আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে স্থানীয়রা। কৌশলে রাজন আলী আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন সোমবার গ্রামজুড়ে সমলোচনা শুরু হলে ওই রাতে গ্রাম্য মোড়ল মাতুব্বরা গ্রাম্যস্যালিস বৈঠক করে, স্যালিস বৈঠকে উপস্থিত থাকা গ্রামের হাবিল হোসেন বলেন, মিজারের স্ত্রী আরিফা আজ নতুন নয় রাজনের সাথে গত বছর খানেক আগে আকাম করে ধরা পড়ে ছিলো, আর সেদিন পাড়ার মৃত রবিউল হকের ছেলে মতিন বিষয়টি দেখে ফেলে সে গ্রামের লোকজনকে জানালে আরিফাকে সেখান থেকে মোটা অংকের জরিমানা নিয়ে ছিলো। মিজার হোসেন বলেন, আমার স্ত্রী তো এর আগেও এমন কথা ছড়িয়ে ছিলো সেখানে তো মিটিং করা হয়ে ছিলো যদি সেভাবে মিটিং হয় তাহলে আমি এই মিটিং মেনে নেবো। আর যদি মিটিং আমার পছন্দের মতো না হয়; তাহলে আমি মামলা করবো। মঙ্গলবার আমার স্ত্রী আরিফা খাতুন বাদী হয়ে মৃত জলিল হকের ছেলে পাপুল হোসেন, আজিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন, ঝন্টু হোসেনর ছেলে হুসাইন আহম্মদের নামে আলমডাঙ্গা থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এদিকে, পরের দিন বুধবার বিকেলে ঝন্টু হোসেনের ছেলে হুসাইন আহমদ বাদী হয়ে মিজার হোসেন তার স্ত্রী আরিফা খাতুন, রাজ্জাক আলী তার ছেলে রাজন আলী ও রিন্টু হোসেনসহ কয়েকজনের নামে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে, মিজার হোসেনের স্ত্রী আরিফা খাতুন একই পাড়ার রাজ্জাক আলীর ছেলে রাজন আলীর সাথে অনৈতিক কাজ করে আসছিলো; দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা তাকে বারণ করলে সে প্রমাণ চাই। তাই এবার আমাদের পাড়ার কয়েকজন মিলে নজরে রেখে হাতে নাতে তাদের দুজনকে ধরে গ্রামের ম-লদের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছি এবং ম-লরা গ্রাম্য স্যালিস বৈঠক শুরু করার আগেই মিজার গ্রাম্যস্যালিস অমান্য করে আমাদের নামে অভিযোগ করেছে, তাই আমরা থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে ভাংবাড়িয়া ইউপি সদস্য সাজিদুল ইসলাম বলেন, আমি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম মিজার হোসেন গ্রাম্য স্যালিস বৈঠক আরম্ভ হওয়ার আগেই সে অমান্য করে চলে গেছে।

Comments (0)
Add Comment