এক নারীর সাথে ২ বন্ধুর পরকীয়া, অতঃপর খুন

এক নারীর দুই পরকীয়া প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই একজনকে খুন করেছে আরেকজন। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সজীব খান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইসরাফিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসরাফিলের স্বীকারোক্তিতেই এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশের সামনে ইসরাফিল বলে, আমাদের গ্রামের জলিলের স্ত্রী ময়নার সঙ্গে আমার ও আলমগীরের পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় বিরোধের জেরে আমি একাই আলমগীরকে হত্যা করেছি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পশ্চিম বকচরা গ্রামের আলমগীর হোসেন একজন দিনমজুর। তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বালিয়াডাঙা গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক আব্দুল জলিলের স্ত্রী ময়না খাতুনের। এওই নারীর সঙ্গে দ্বিতীয় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ইসরাফিল হোসেন। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ হয়। স্থানীয়ভাবে সালিশ-বিচারও হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও আলমগীরের সঙ্গে ইসরাফিলের দূরত্ব সৃষ্টি হয় পরকিয়া গৃহবধূ ময়নাকে নিয়ে। এরই জেরে ইসরাফিল গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে এনে বকচরা বিলের মধ্যে একটি ঘেরে ডিশলাইনের তার গলায় পেঁচিয়ে আলমগীরকে হত্যা করে। ইসরাফিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ আলমগীরের ব্যবহৃত টর্চলাইট ও মোবাইল উদ্ধার করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- সাতক্ষীরা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুজ্জামান শামস এবং সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

Comments (0)
Add Comment