কুষ্টিয়ায় করোনায় চিকিৎসকসহ ৩ জনের মৃত্যু : উপসর্গে ১

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত) তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও একজন কলেজের অধ্যাপক রয়েছেন। অপরজন আদালতের আইনজীবীর সহকারী। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও এক কিশোর। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম নুর উদ্দিন আবু আল বাকী রুমি (৪৮) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নুর উদ্দিন ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন। তার বাড়ি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামে। জেনারেল হাসপাতালসূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই নুর উদ্দিনের শরীরে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। ডায়বেটিস রোগী হওয়ায় অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় তাকে ওই দিন রাতেই ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিলো।

অপরদিকে করোনায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হালসা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোজাহার আলী (৫৯) মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আটিগ্রাম এলাকায়। তিনি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।

অধ্যাপক মোজাহার আলীর বড় ছেলে অনিক তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সর্দি কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত অধ্যাপক মোজাহার আলী ৮-১০ দিন নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তার অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ১২ জুলাই কুষ্টিয়া মেডিকেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। করোনা শনাক্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস কলোনিপাড়ার বাসিন্দা আদালতের আইনজীবীর সহকারী (মুহুরী) মোকসেদ আলী (৬৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করে সকালে স্থানীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে। পরে আমরা মোকসেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। গত ৩ জুলাই তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। তিনি বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন শিমুল বিশ্বাস (২০) নামে এক কিশোর। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শিমুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলা হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে মৃত আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের দ্বিতীয় ছেলে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২৪ জনের মৃত্যু হলো।

Comments (0)
Add Comment