চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ও বেগমপুরে ঈদের আগে ভিজিএফ’র ১০ কেজি চাল পাবে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার

যাচাই বাচাই করে তালিকা করার দাবি

বেগমপুর প্রতিনিধি: একদিকে করোনা মহামরি মোকাবেল করতেই হিমশিম কাচ্ছে মানুষ। অপরদিকে আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল আজহা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরই আলোকে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৪৫ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য কাজ শুরু করেছে ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা। সচেতন মহলের দাবি দলীয় বা স্বজনপ্রীতির বিবেচনায় যেনো তালিকা না করা হয়। প্রকৃত দরিদ্র মানুষগুলো ঈদের আগে ১০ কেজি করে চাল পেলে কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।

একদিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে জীবন ও জীবিকা। জীবিকার তাগিতে অনেক নির্দেশনাই মানতে চাইছে না খেটে খাওয়া মানুষেরা। পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার তুলে দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে মানুষের জন্য কিছু করতে। এই পরিস্থিতিতে সরকার মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল আজহা। চলমান কর্মসূচির আওতায় এবারও ঈদের আগে দরিদ্র মানুষের জন্য মাথাপিচু ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৬০ জন এবং বেগমপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৮৫ জন এ তালিকার আওতাভুক্ত হবেন। সেলক্ষ্যে ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এ দু’টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যরা ইতোমধ্যে ক্ষমতাসিন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বসে কার্ড ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। সচেতন মহলের দাবি তালিকায় যেনো প্রকৃত দরিদ্র মানুষের নাম তালিকাভুক্ত হয় এবং সেই সাথে একটি পরিবারে যেনো একাধিক ব্যক্তি তালিকাভুক্ত না হয়।

উল্লেখ্য, ভিজিএফ একটি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকার দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে থাকে। ভিজিএফ কর্মসূচিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের মধ্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ২ কিস্তিতে খাদ্যশস্য বার্ষিক বরাদ্দ পেয়ে থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর আবার এ খাদ্যশস্য যোগ্য উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরনের জন্য নির্দিষ্ট উপজেলার জনসংখ্যা এবং দারিদ্রসীমা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকের অনুকূলে উপজেলা ভিত্তিক উপ-বরাদ্দ প্রদান করে থাকে। এ ব্যাপারে তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে চাল বিতরণের তাগাদা রয়েছে। সে অনুযায়ী পরিষদ এবং দলীয়ভাবে তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে তালিকা অনুযায়ী ওয়ার্ডভিত্তিক চাল দায়িত্বরত ব্যক্তিদেরকে বুঝ করে দেয়া হবে।

 

Comments (0)
Add Comment