চুয়াডাঙ্গায় শীত : বেড়েছে ধুনুরিদের ব্যস্ততা

আনোয়ার হোসেন: সপ্তাহখানেক আগেও ছিলো না শীতের আমেজ। কয়েকদিনের মধ্যেই হুট করে জেকে বসেছে শীত। দিনে রোদের তেজ থাকলেও রাতে লেপের ওম যেন না নিলেই নয়। ফলে রাতারাতি বেড়েছে ধুনুরিদের ব্যস্ততা। ধুনুরিরা তুলো করছে তুলো ধোনা, আর লেপতোষকের তৈরির হুকুমদাতারা তড়িঘড়ি তা পেতে ধুনুরিদের ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে বাড়াচ্ছেন ওদের ব্যস্ততা।
শিমুলতুলা চুয়াডাঙ্গায় এবার ৪শ টাকা কেজি, কার্পাসতুলো ১শ থেকে ১শ ৮০ টাকা, গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে তৈরি তুলো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শিমুলতুলার লেপ স্বল্প আয়ের পরিবারের কাছে দিন দিন অধরা হয়ে যাচ্ছে। লেপতৈরির ধুনুরি বিল্লাল হোসেন বললেন, ৫০ বছর ধরে লেপতোষক তৈরির কাজ করছি। এ কাজ করে দু’মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়েছি। ছেলেও ডিগ্রি পাস করে ব্যবসায় নেমেছে। ছোটছেলেও অনার্স পড়ছে। সংসারের ছেলে-মেয়েদের বেড়ে ওঠার মতোই তোলার দাম বেড়েছে হুড়হুড় করে। বাড়বে নাই বা কেন? শিমুলগাছ কি আর আছে। কার্পাস তুলোর আবাদও এলাকায় কমে গেছে। তবে অন্য এলাকা থেকে আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে টাকা দিলে কোন তুলারই অভাব হয় না। আগে শুধু শীতের মধ্যে লেপতোষকে কাজ হতো। এখন বারো মাসই হয়। তবে শীতের শুরুতে কাজের চাপ বাড়ে। এবারও বেড়েছে। তবে এবার হুট করে শীত পড়ার কারণে কাজ করতে গিয়ে আমাদের নাভিশ^াস ওঠছে। মজুরি? একটা জাজিম করতে ৫শ, তোষক ৩শ, লেপ ২শ, বালিশ ২০ টাকা করেই নেয়া হয়। কারিগর ইমরান হোসেন বললেন, ৮ বছর ধরে এই কাজ করছি। শীত এলে কাজের চাপে তুলোর মতো আমাদের যেন তুলোধোনা হতে হয়।
প্রসঙ্গত: গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো সীতাকু-ে ৩২ দশমিক ৩, সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়া ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়া। চুয়াডাঙ্গায় ছিলো সর্বোচ্চ ২৯ দশমিক ৬ এবং সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Comments (0)
Add Comment