চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন আসামির রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে (৩৮) হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন আসামির রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নেন রাষ্ট্রপক্ষের আদালত পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাদিউজ্জামান ও বাদীর আইনজীবী মারুফ সরোয়ার বাবু এবং আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সেলিম উদ্দিন খান, মাহবুবুল ইসলাম ও তসলিম উদ্দিন।
সোহেল রানা ডালিমকে ১৬ আগস্ট রাতে দূর্বৃত্তরা দুই দফা ছুরিকাঘাত ও ধারালো ক্ষুর দিয়ে পোঁচ দিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সোহেল রানা ডালিমের ভাই কেদারগঞ্জ এলাকার মো. আরিফ বাদী হয়ে ১৭ আগস্ট দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুলবিষয়ক সম্পাদক শহরের ইমার্জেন্সি সড়কের আবদুল লতিফের ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৯) এবং কর্মী ফেরিঘাট সড়কের আবদুস সাত্তারের ছেলে জান্নাত হোসেন (২৫), নজরুল ইসলামের ছেলে আল মোমিনের (২৫) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ঘটনার রাতেই রাজু আহম্মেদকে এবং পরদিন বাকি দুজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৬ আগস্ট রাত ৮টার দিকে সাংবাদিক সোহেল রানা শহরের একাডেমি মোড় থেকে কর্মস্থল সময়ের সমীকরণ কার্যালয়ে ফিরছিলেন। ইমার্জেন্সি সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সামনের একটি মোটরসাইকেল আকস্মিক ব্রেক ধরলে সোহেল রানার মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে। তুচ্ছ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজু আহম্মেদ ও তাঁর সঙ্গীরা সোহেল রানাকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন। রক্তাক্ত সোহেল রানা ইজিবাইকে করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সেলাই চলাকালে তাঁর ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয় এবং ক্ষুরের পোঁচ দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। সোহেল রানা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Comments (0)
Add Comment