চুয়াডাঙ্গা দোস্ত গ্রামে প্রতিপক্ষের হেঁসোর কোপে ক্ষতবিক্ষত বাবু’র মুখ করতে হবে প্লাস্টিক সার্জারি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দোস্তগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর জখম মোয়াজ্জেম হোসেন ৯দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রতিপক্ষের হেঁসোর কোপে কেটে যাওয়া মুখের ডানপাশ কেটে বাদ দিয়েছেন চিকিৎসক। প্লাস্টিক সার্জারি ছাড়া মুখম-লের প্রকৃত চেহারা ফেরানো সম্ভব নয় বলে জানিছেন চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার ডাক্তারি বোর্ডে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা। এদিকে ঘটনার সঠিক তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে এলাকার সচেতনমহল।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তগ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুকে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে হযরত আলী সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে খেজুর গাছকাটা হেঁসো দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। ৯দিন ধরে বাবু চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছে বাবুর মুখের ডানপাশে বেশ খানিক মাংসসহ চামড়া কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এখন প্লাস্টিক সার্জারি ছাড়া স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে না। এ ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ঘটনায় বাবুর পিতা রুস্তম আলী বাদী হয়ে হযরত, শাহালম ও হানিফকে আসামি করে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি শাহালমকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।
এদিকে মামলা থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হযরত আলী হাসপাতালে চিৎসাধীন মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, সেকেন্দারের ছেলে হযরত আলী, ওমর আলী ও ঢাকায় বসবাসকারী বাবুর ভগ্নিপতি আবুল কালামকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের নিকট তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুর রহমান বলেন, যে কেউ মামলা করতেই পারে। তদন্ত করলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

Comments (0)
Add Comment